লিটন কুমার ঢালী, বেতাগী : উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ আতংক। গত বুধবার বরগুনার আমতলীতে এই সাপের দংশনে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই সংবাদে বেতাগীর সর্বত্র আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার দিনভর বেতাগী পৌর শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র রাসেল ভাইপার নিয়ে আলোচনা চলে। সাধারণ জনগণের মধ্যে এ নিয়ে আতংক বিরাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতের পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে দেখা মিলছে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ। বিষধর এই সাপ সম্পর্কে গ্রামগঞ্জের মানুষের মধ্যে কোনও ধারনা বা পরিচিতি একদমই নেই বললেই চলে। ইতোপূর্বে বরগুনার পার্শ্ববর্তী জেলা ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের দুই-একটি জায়গায় রাসেল ভাইপার প্রজাতির সাপ ধরা পড়লেও তা বনে অবমুক্ত বা পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তবে গত বুধবার আমতলীর ঘটনায় বেতাগীর জনসাধারণের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, বর্ষার সময় এই বিষাক্ত রাসেল ভাইপার দেখা মিলতে পারে। তাই সকলকে সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। '
তথ্য অনুযায়ী উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেই ওই সাপের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। ওই প্রজাতির সাপের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। তবে বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ওই প্রজাতির সাপের উপস্থিতি বেড়ে গেছে।
উত্তরবঙ্গে রাসেলস ভাইপার সাপ চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামে পরিচিত। সাপটির গাঁয়ের রং এবং চিত্রাকৃতির হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ ওটিকে নদীতে বাস করা অথবা অজগর সাপের ছদ্মনাম বলেই জানে। বাংলাদেশে যে সকল সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে ওটিই সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। আফ্রিকা উপমহাদেশ থেকে আসা ওই বিষধর সাপের উপদ্রব এখনই কমানো না গেলে পরে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।