প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
আধুনিক এই যুগেও হাতুড়ি আর কুড়াল দিয়ে কাটা হয় মরদেহ। এভাবেই দিনের পর দিন কাজ চলছে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। সেখানকার ডোমরা জানান, জং ধরা এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ আলামত।
এদিকে মর্গে জনবল না থাকায় দিন দিন বাড়ছে ভোগান্তি। সমস্যার কথা স্বীকার করে জনবল বাড়ানোসহ ফরেনসিক বিভাগ চালুর দাবি জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধাপে ধাপে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের নানা পরিবর্তন হলেও লাশকাটা ঘরের কোন পরিবর্তন নেই। এমনকি লাশকাটার প্রক্রিয়াতেও আসেনি নতুনত্ব।
ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডোম মো. আবদুর রহিম জানালেন, আধুনিক যুগেও মরদেহ ব্যবচ্ছেদে হাতুড়ি-বাটাল আর কুড়ালই ভরসা এখানকার ডোমদের। এমনকি দুইজন ডোম থাকার কথা থাকলেও বছরের পর বছর শূন্য একটি পদ।
তিনি জানান, মর্গে মরদেহ সংরক্ষণের ১০টি ফ্রিজের মধ্যে ছয়টি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। ফলে বড় কোনো দুর্ঘটনা হলে মরদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। কাজের চাপে সহকারী রাখলেও পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করতে চায় না কেউ।
ডোমের সহকারী আবদুল কাদের জানান, মর্গে মরদেহ নিয়ে এসে ভোগান্তিতে পড়েন স্বজনরাও। ঘণ্টার পর ঘণ্টার পর দাঁড়িয়ে থাকাসহ নানা রকম হয়রানি পোহাতে হয় তাদের।
সমস্যার কথা স্বীকার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, সেবার মান বাড়াতে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ আরও ডোমের প্রয়োজন।
জেলার ছয়টি থানা থেকে প্রতিদিনই মরদেহ আসে হাসপাতালের এই মর্গে। তবে জনবলের অভাবে ময়নাতদন্ত চলে অবহেলায়। তাই জনবল বাড়ানোসহ উন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করে সেবা ও সেবার মান বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।