প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
কুষ্টিয়া পৌরসভায় ঘুষি মেরে এক নারী কাউন্সিলের ঠোঁট ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন কাউন্সিলররা। পরে থানা থেকে পুলিশের একাধিক দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ দুপুর ১টার দিকে পৌরসভায় কাউন্সিলরদের মিলনায়তনে এমন ঘটনা ঘটে। এ সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার অন্যান্য কাউন্সিলররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী কাউন্সিলের নাম মোছাম্মত পারভীন আক্তার। তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৯, ২০ ও ২১ এর কাউন্সিলর এবং কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
অন্যদিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের নাম কৌশিক আহম্মেদ বিচ্ছু। তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পারভীন আক্তার বলেন, ‘কাউন্সিলর কৌশিক নামাজের উদ্দেশে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় আমি তাকে পেছন থেকে বাবা-সোনা বলে ডাক দেই।
এরপর তিনি এসে বলেন- আমি নাকি তাঁকে গালি দিয়ে ডাক দিয়েছি, এই কথা বলেই আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। ঘুষি মেরে আমার ঠোঁট ফাটিয়ে দেন। এ নিয়ে আমি তকে ছাড়ব না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী নারী কাউন্সিলরের অভিযোগ, কাউন্সিলর কৌশিক পৌরসভায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তার দাপটে অন্য কাউন্সিলররা কোণঠাসা হয়ে থাকেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কাউন্সিল কৌশিক আহম্মেদ বলেন, ‘নারী কাউন্সিলর মদ পান করে প্রতিদিন এখানে আসেন। তিনি আমাকে অশালীন ভাষায় গালি দিয়ে ডাক দেন। আমি এর প্রতিবাদ করতেই তিনি চায়ের কাপ ছুড়ে মারেন এবং সেটি আমার গায়ে এসে লাগে। এরপর আমি তাকে ঘুষি মেরেছি। কৌশিক আহমদের অভিযোগ, ওই নারী কাউন্সিলর মদ পান করে এসে প্রতিদিন ঝামেলা করেন। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, নারী কাউন্সিলরের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। এখন সেখানে কোনো উত্তেজনা নেই। দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।