নিজস্ব প্রতিবেদক:
মার্চ-মধ্য জুন অবধি দেশজুড়ে চলে দাবদাহ। শুরুতেই আমের মুকুল ঝরতে শুরু করে। কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় আম উৎপাদন ব্যাহত হয়। রাজশাহী থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত চাষিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। চাহিদার তুলনায় আম উৎপাদন মাত্র ৪০ শতাংশ। এবারে দাম বেশি, ক্রেতা কম। ফলে মৌসুম জুড়ে খুলনার বাজারে চলছে মন্দাভাব।
সাতক্ষীরা ও পাটকেলঘাটায় উৎপাদিত আমের আমদানি এখন আর খুলনার বাজারে নেই। গোবিন্দভোগ হিমসাগর ও লতার মজুদ শেষ হয়েছে। শুরুতেই প্রতিমন ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। জুন থেকে রাজশাহীর আম আসতে শুরু করে। রুপালি, রত্না, গুটি, হাড়িভাঙা, হিমসাগর, ও ল্যাংড়ার মজুদ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবারের আমদানি ৪০ শতাংশ।
মেসার্স আলিফ ট্রেডার্স এর মালিক মোহাম্মদ সলেমান শেখ জানান, এবারে লিচু ও আমের উৎপাদন কম। দাবদাহের কারণে উৎপাদন কমেছে। গেল মৌসুমে প্রতিদিন রাজশাহী থেকে গড়ে ২৫ ট্রাক আসত। এখন আসার পরিমাণ মাত্র চার ট্রাক । এ মৌসুমের শুরুতেই গুটি আমের মন ১৪শ’ টাকা থাকলেও এখন ১৭শ’ টাকা। হাড়িভাঙার মন ছিল ২ হাজার টাকা এখন ২৬শ’ টাকা। মোহাম্মদী ভান্ডারের মালিক মোঃ রেজাউল হায়দার পাটোয়ারী জানান, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে আমের উৎপাদন এবারে কম। চাহিদা বেশি। খুলনা নগরী, পাথরঘাটা, বরিশাল ও পটুয়াখালির ক্রেতারা আসছে না। আগামী সপ্তাহ থেকে ফজলি আম আসা শুরু হবে। সব মিলিয়ে মৌসুম জুড়ে বাজারে চলে মন্দাভাব।
শান্তিধাম মোড়ের ক্ষুদে ব্যবসায়ী মোঃ তইয়েব আলী জানান, রুপালী আম প্রতি কেজি ৮০-১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিমসাগর ৮০-১১০ টাকা, বারিফোর ৮০ টাকা দাম । বাজারে হিমসাগর ও রুপালী আমের আমদানি বেশি । আমদানি বেশি হওয়াতে তুলনামূলকভাবে দাম কম। অপর ব্যবসায়ী মোঃ নাইম শেখ তথ্য দিয়েছেন গতবারের তুলনায় এবার ক্রেতা কম।