প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দফায় দফায় দাবি পরিবর্তন করা হচ্ছে, তারা কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায় না, তাদের অন্য কোনো দুরভিসন্ধি আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের মাধ্যমে সরকারি পরিপত্র পুনর্বহাল হওয়ার পর, আন্দোলনকারীদের প্রাথমিক দাবি পূরণ হয়ে গেছে। তাদের মৌলিক দাবি এবং সরকারের অবস্থান একই রকম প্রতীয়মান হলেও তারা বারবার দাবি পরিবর্তন করে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এখনো আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ তৈরি করছে, আমি মনে করি তারা কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায় না, তাদের অন্য কোনো দুরভিসন্ধি আছে।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আমরা সবাই জানি রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ আছে। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনসভা। এই তিনটি অঙ্গ কীভাবে কাজ করে, সে বিষয়ে যদি ধারণা না থাকে তাহলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি পরিবর্তন করা হচ্ছে, একেকবার রাষ্ট্রের একেক অঙ্গের কাছে তারা দাবি জানাচ্ছে, এখানে মনে হচ্ছে তাদের সম্যকধারণার কিছুটা অভাব আছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ তথা সরকার যখন আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মীমাংসার পথে এগোচ্ছে তখন আন্দোলনকারীরা দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করে, বিচারবিভাগ নয়, নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে সমাধান চায়। অথচ, সর্বোচ্চ আদালতের প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ না করে সরকার এ বিষয়ে কোনো কিছুই করতে পারবে না। এমনকি কোনো ঘোষণাও দিতে পারবে না, এটি তো সবারই জানা।
তিনি বলেন, বৈষম্য দূর করতে অগ্রাধিকারভিত্তিক বিবেচনা প্রয়োজন। কোটা বৈষম্য তৈরি করে না। কোটার উদ্দেশ্য পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বৈষম্য নিরসন। সরকার বৈষম্যের নিরসন করে মেধার মূল্যায়ন করতে চেষ্টা করছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা মেধার মূল্যায়ন চায়। এ স্পিরিটের সঙ্গে আমিও একমত। কিন্তু মেধার মূল্যায়ন করতে গিয়ে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, যারা নিগৃহীত, বঞ্চনার শিকার, যারা এ দেশ তৈরি করেছেন সে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার যাতে পিছিয়ে না যায় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।