প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্কঃ
ফেভারিট হিসেবেও আসর শুরু করলেও এখন পর্যন্ত দাপুটে ফুটবল খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করে ঠিকই টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। স্পেনের বিপক্ষে ফাইনালের জমজমাট মহারণের আগে দেখে নেওয়া যাক যে কেমন ছিল ইংল্যান্ডের পথচলা।
গ্রুপ পর্ব :
ইংল্যান্ড-সার্বিয়া
প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ড দল হতাশ করে বেশ। সার্বিয়ার সাথে মাঠে নেমেও রক্ষণাত্মক মনভাব নিয়েই খেলতে থাকে ইংলিশরা। তবে জুড বেলিংহামের হেড থেকে পাওয়া একমাত্র গোলে জয় পায় তারা। অবশ্য তিন পয়েন্ট পেলেও সে ম্যাচে দুই দল মিলে শট নিয়েছিল মোটে ১১টি। যা ১৯৮০ ইউরোর পর কোনো ম্যাচে সবচেয়ে কম শট নেওয়ার রেকর্ড।
ইংল্যান্ড-ডেনমার্ক
১৮ মিনিটের মাথায় হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে ৩৩ মিনিটে ইংল্যান্ডের জমাট রক্ষণ ভাগে রাজমুস হয়লুন। এরপর বাকি সময় গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দুই দলের, বিশেষ করে ইংল্যান্ডের ধারহীন ফুটবলে দর্শক কিংবা টিভি সেটের সামনে বসা সমর্থকরা ঝিমিয়ে ঝিমিয়েই পার করেছে।
ইংল্যান্ড-স্লোভেনিয়া
একই চিত্রের দেখা মেলে স্লোভেনিয়া ম্যাচেই। এদিন অবশ্য বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখলেও কোনো গোল করতে পারেনি ইংলিশরা। দুই দল মিলিয়ে শট নিতে পেরেছে মোটে ১৬ টা। দুই ড্র আর এক জয়ে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েই ইংলিশরা যায় শেষ ষোলোতে।
শেষ ষোলো:
ইংল্যান্ড-স্লোভেকিয়া
শেষ ষোলোতে কিছুটা সহজ প্রতিপক্ষ পায় ইংল্যান্ড। তবে ২৫ মিনিটে ইভান শ্রাঞ্জের গোলে ইংলিশদের চাপে ফেলে স্লোভেকিয়া। পুরো ম্যাচ জুড়ে গোল শোধের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও গোল পাওয়া হচ্ছিল না তাদের। যখনই মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড ছিটকে যাচ্ছে টুর্নামেন্ট থেকে তখনই অবিশ্বাস্য এক ওভারহেড কিকে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান বেলিংহাম। অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে অধিনায়ক কেইন খুঁজে নেন জাল। তাতে শেষ আটে জায়গা মেলে ইংল্যান্ডের।
কোয়ার্টার ফাইনাল:
ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড
পুরো আসরজুড়েই সুইজারল্যান্ড তাদের দেশের মতো সুন্দর ফুটবলই উপহার দিয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের সাথেও তারা দারুণ ফুটবল উপহার দেয়। এমবলোর গোলে তারা এগিয়েও গিয়েছিল, তবে সাকা ম্যাচে ফেরায় ইংল্যান্ডকে।
নির্ধারিত সময়ে দুই দলই আর গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে সবগুলো শটই জালে জড়িয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। আর সুইজারল্যান্ডের দুই ফুটবলার বল ঠেকিয়ে ইংলিশদের জয়ের নায়ক বনে যান গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড।
সেমিফাইনাল:
ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস
নকআউট পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ফিরে আসার গল্প লিখে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালেও তারা হেঁটেছে একই পথে। ৭ মিনিটের মাথায় জাভি সিমন্সের গোলে এগিয়ে যায় ডাচরা। ১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান কেইন। যদিও সেই পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বেশ।
ম্যাচের একেবারে শেষ মূহর্তে ইংল্যান্ডের ফাইনাল নিশ্চিত করেন অলি ওয়াটকিন্স। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালের পর ইংলিশরা জিততে পারেনি কোনো মেজর শিরোপা। স্পেনকে হারাতে পারলেই লম্বা সময়ের শিরোপা খরা কাটবে ইংলিশদের।