প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় পুরুষ ও মহিলা হোস্টেলে কাঠের আসবাবপত্র সেটিং ও ফিটিংয়ের কাজে বাধা দেওয়া অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকাস্থ গণপূর্ত কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকেশৗলী মো. সাজেদুল ইসলাম গত ৯ জুলাই এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
এ ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, পুরুষ ও মহিলা হোস্টেলে আসবাবপত্র সেটিং ও ফিটিংয়ের জন্য গত ১২ মে টেকনিশিয়ান পাঠানো হয়। কিন্তু এ কাজে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম টেকনিশিয়ানদের কাজে বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকেশৗলী মো. সাজেদুল ইসলাম গত ২৩ মে হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক, অধ্যক্ষসহ ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি কাজের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান। পরে ঢাকা থেকে পুনরায় টেকনিশিয়ান পাঠানোর উদ্যোগ নিলে ২২ জুন রাতে সাজেদুল ইসলামকে ফোন করে ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং টেকনিশিয়ান না পাঠানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কোরবানি ঈদের পর টেকনিশিয়ানরা পুনরায় হোস্টেলের আসবাবপত্র ফিটিং করতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা আবারও বাধা দেয়। এমনকি তারা টেকনিশিয়ানদের মারধর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়াসহ হুমকি দিলে টেকনিশিয়ানরা কাজ না করেই পটুয়াখালী থেকে চলে যায়। সর্বশেষ ৮ জুলাই ঢাকা থেকে পুনরায় নতুন টেকনিশিয়ানদের পাঠালে কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী আবারও কাজে দেয়। এতে কাজটি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা করছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি।
এ ব্যাপারে মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাদিক মোবাইল ফোনে জানান, নিম্ন মানের কাজের জন্য ছাত্ররা বলেছে কাজ বন্ধ রাখতে।
তবে সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেউ সরকারি কাজে বাধা দেয়নি। কে বা কারা বাধা দিয়েছে তাও আমাদের জানা নেই।’
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, আসবাবপত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের চিঠি পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। কমিটির আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।