প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিনভর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের পাশে সেগুনবাগিচায় ট্রান্স সিলভা পরিবহনের দুটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট পুলিশ প্রটেকশনে আগুন নেভায়। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন দেয়ার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধার সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা হয়নি। সেখানে সাতটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও চলমান সংঘর্ষে মারা গেছেন তিনজন। এছাড়া রংপুরে পুলিশের ছড়াগুলিতে প্রাণ গেছে এক শিক্ষার্থীর।
দিনব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে। কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের এ সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অনেকে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহরসহ আশপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ সময় দুইপক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন। এর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থা নেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় দুই নম্বর গেট এলাকায় একটি বাসে ভাঙচুর চালান তারা।
এদিকে, রংপুরে মহাসড়ক অবরোধ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন।
এদিকে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশের চার জেলায় (ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহী) বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।