প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ আজ, পবিত্র আশুরার দিন। বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ। এই দিনে ফুরাত নদীর তীরবর্তী কারবালায় শহিদ হন রাসুল (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হযরত আলী (রা.) ও হযরত ফাতেমা (রা.) এর পুত্র।
আরবি শব্দ ‘আশারা’ থেকে আশুরা শব্দটি এসেছে। আশারা অর্থ দশ, আর আশুরা অর্থ দশম। দিনটি ঐতিহাসিক নানা ঘটনাবলিরও সাক্ষ্য বহন করে। এই দিনে আদি পিতা আদম (আ.) কে সৃষ্টি ছাড়াও তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়। হযরত নূহ (আ.) এর নৌযানের যাত্রা শুরু হয় এই দিনেই এবং মহাপ্লাবন শেষে এদিন ঈমানদারদের নিয়ে তিনি নৌকা থেকে নামেন।
সহিহ বুখারির হাদিসে এসেছে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার দিন মুসলিমগণ আশুরার রোজা পালন করতেন। এ দিনই কাবাঘর গিলাফে আবৃত করা হতো। পরে রমজানের রোজা ফরজ হলে রাসুল (সা.) ঘোষণা দেন, আশুরার রোজা যার ইচ্ছা সে পালন করবে, আর যার ইচ্ছা সে ছেড়ে দেবে।
ঐতিহাসিক এই দিনে বিশ্বজুড়ে সুন্নি মুসলিমগণ আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনার আশায় নফল রোজা রাখার পাশাপাশি নফল ইবাদত করে থাকেন। অন্যদিকে, শিয়া মতাবলম্বীরা এদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি তাজিয়া মিছিল করে থাকেন।
আশুরার দিনটি সরকারি ছুটির দিন। এ উপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারবালার শিক্ষায় জীবন গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।