প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
এক দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম শহিদ মিনারে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।
অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করার জন্য সবার উদ্দেশে ১৫টি নির্দেশনা দেয়া হয়। সেইসঙ্গে অসহযোগ আন্দোলনের বাইরে থাকবে যেসব বিষয়, সেটিও জানানো হয়েছে।
অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে যেসব বিষয় বাইরে থাকবে তা নিয়ে সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ জানান, হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন- ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পরিবহন সেবা চালু থাকবে।
এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ ও সহিংসতার মাঝেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকারের কাছে বিচার চাওয়া বা সংলাপে বসারও সুযোগ আর নেই। ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পার হয়ে গেছে।
এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, যখন সময় ছিল তখন সরকার ব্লক রেইড দিয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে, নির্যাতন করেছে। আখতার হোসেন, আরিফ সোহেলসহ রাজবন্দিদের কারাগারে রেখে আমরা কোনো ধরনের সমঝোতায় যাব না।