প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আপনাকে দ্রুত ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অন্যথায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করতে পারেন।
শনিবার তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই আমন্ত্রণ জানান।
সংবাদপত্র ফাউন্ডেশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনসংবাদপত্র ফাউন্ডেশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন
ড. ইউনূস বলেন, ঢাকার অনেকটা অংশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের গ্রাফিতি রাজধানীতে। তরুণ শিক্ষার্থী ও ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা ৪০০ বছরের পুরনো এই শহরের দেয়ালে নতুন গণতান্ত্রিক পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশের চিত্র দিয়ে রাঙিয়ে তুলছে। এ জন্য কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা বা দিকনির্দেশনা নেই। কারো কাছ থেকে বাজেট সাপোর্ট পায়নি তারা। এটা দ্বিতীয় বিপ্লবের লক্ষ্যের প্রতি তাদের আবেগ ও অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। তারা তাদের জন্য রং এবং ব্রাশ কেনার জন্য দোকানে যান। তারা তাদের নিজস্ব বিষয় এবং নিজস্ব বার্তা তৈরি করে। তারা যে বার্তাগুলো আঁকছে তা যে কাউকে শিহরিত করবে। তরুণরা কী স্বপ্ন দেখছে তা যে কেউ তাদের মধ্যে পড়তে পারে। তাদের স্বপ্নকে সত্যি করাই আমাদের কাজ।
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, তারা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। তারা উদ্যোক্তা। তারা যে চাকরি চায়, সেটা উপভোগ করার কারণে নয়। বরং তারা অন্য কিছু করতে পারছে না তাই। কারণ আমাদের সব দেশের শিক্ষাব্যবস্থা তাদের চাকরির জন্য প্রস্তুত করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সব মানুষই সৃজনশীল জীব হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। তারা স্বভাবজাত উদ্যোক্তা। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে শুধু চাকরিপ্রার্থী তৈরি ও তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য। আমাদের ব্যবস্থাটি পুনরায় সাজাতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনটি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান পর্যায়ে হবে, যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অতিথিদের স্বাগত জানাবেন। উদ্বোধনী অধিবেশনের থিম শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যের মতোই—‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ক্ষমতাধর বৈশ্বিক দক্ষিণ’।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেয়ার পর এটিই হতে যাচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম বৈশ্বিক কোনো অনুষ্ঠান। এর আগে এই সামিটে যোগ দিতে ড. ইউনূসকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুই দেশের নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি।