গোলাম রব্বানী,স্টাফ রিপোর্টার।

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কদরুল হাসান নিখোঁজ হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ এখন পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি।

তার সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার (৭ আগস্ট) খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গুম নাকি প্রতিপক্ষ কর্তৃক অপহৃত হয়েছেন, সেই বিষয়ে কোনো ধারণা দেন নি পরিবার।

কদরুল হাসান নগরীর খালিশপুরস্থ সরকারি হাজী মোহাম্মদ মুহসীন কলেজের ছাত্র। পাশাপাশি নগরীর শেখপাড়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম চাকরি করতেন। তিনি খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ সোনারবাংলা গলির বাসিন্দা। তার স্থায়ী ঠিকানা খুলনার তেরখাদা উপজেলার বিরি আজগড়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্র নেতা কদরুল হাসানের স্ত্রী সাঈদা খাতুন বলেন, ‘‘কদরুল হাসান সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠিত ত্রাণ সংগ্রহে নগরীর ময়লাপোতা এলাকায় কাজ করেছেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল অনুমান ৩টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার সময় তার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমি বন্যার্তদের ত্রাণের কাজে ব্যস্ত আছি। খুব দ্রুত বাসায় ফিরে আসবো। পরবর্তীতে আর বাসায় ফেরেনি। রাত অনুমান ১১টার দিকে আমি তাকে ফোন দিলে তার নম্বর খোলা পেলেও রিসিভ করেননি।

তারপর থেকে নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাইনি।

তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা তথা কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সম্ভাব্য সকল স্থানে তাকে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কোনো সন্ধান মেলেনি। সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রথমে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। রাতে আবার পুলিশের পরামর্শে খুলনা থানায় আরও একটি জিডি করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।

সংবাদ সম্মেলনে কদরুল হাসানের সন্ধান পেতে অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এসআই এইচএম শহীদুল ইসলাম বলেন, কদরুল হাসানের সর্বশেষ অবস্থান নগরীর ময়লাপোতায় পাওয়া গেছে। তবে সেখান থেকে তিনি কোথায় গেছেন, সেটি জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে। তার খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।