প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে কুখ্যাত মাদক সম্রাট বাদশা মল্লিক ওরফে বাদশা মিয়া (৫৭) কে বিভিন্ন অভিযোগে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। আটক বাদশা বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত কেরামত মল্লিকের ছেলে।
বুধবার (০২ অক্টোবর) রাতে রঘুনাথপুর এলাকার কোদলারহাট মসজিদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মপ হসড
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সকালে যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, কুখ্যাত মাদক সম্রাট বাদশা মিয়া রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকায় অবস্থায় করছে। এর প্রেক্ষিতে অধিনায়কের নির্দেশনায় বিজিবির একটি বিশেষ অভিযানিক দল রঘুনাথপুর সীমান্তের কোদলারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
বিজিবি জানায়, আটক বাদশা দীর্ঘদিন ধরে যশোর সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাকারবারি, মাদক, হুন্ডি ও ধুড় পাচারকারীসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জড়িত। সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ১৫টির অধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী। বিগত সরকারের সময়ে একটি ওয়ান শ্যুটার গান, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২৫৩ বোতল ফেনসিডিলসহ বাদশাকে আটক করলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যে সে আবার জেল থেকে বেরিয়ে আসে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানী কার্মকান্ড পরিচালনায় মাফিয়া ডন খ্যাত বাদশা ভারতের বস গৌতম, রবিউল, আজগর, নাসির, অপু সাহার সাথে রয়েছে তার নিবিড় যোগাযোগ। সে স্বর্ণ, ডলার, অস্ত্র, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহসহ বিভিন্ন চোরাচালানীর সিন্ডিকেট গড়ে তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ করে থাকে। একই ভাবে ভারতের সুধীর, সাক্ষাত ও কবির সিন্ডিকেটও কুখ্যাত বাদশার কাছে পাইকারী ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক সরবরাহ করে থাকে।
বিভিন্ন সূত্রে থেকে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে বিজিবি আরো জানায়, বাদশা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বর্তমানে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অঞ্চলের শীর্ষ রাজনীতিক, দেশদ্রোহী, অর্থ-পাচারকারীসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তি বা সন্ত্রাসীদের টাকার বিনিময়ে ভারতে পলায়নের সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। এছাড়াও বর্তমানে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে এসকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। এছাড়াও পূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নামে তার আত্মীয়স্বজনও তার নেতৃত্বে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়। সে বাংলাদেশ এবং ভারতের নাগরিক হওয়ায় বাংলাদেশ প্রশাসনের চাপে পড়লে ভারতে পালিয়ে যায় আবার ভারতে চাপে পড়লে বাংলাদেশে চলে আসে। তাকে আটক করার পর সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মাদক চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের এবং চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আটককৃত বাদশাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজিবি জানায়।