প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গণগ্রন্থাগারটি জরাজীর্ণ অবস্থার হয়েছে। দেড় যুগ ধরে এর নেই কোনো কমিটি। পুরাতন যেসব বই ছিল তার মধ্যে অনেকগুলো নষ্ট ও হারিয়ে গেছে। অভিভাবকহীন অবস্থায় থাকায় পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি সচল করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হবে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ১৯৮৫ সালে পাবলিক লাইব্রেরী ও যাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান স.ম. বাবর আলী প্রতিষ্ঠা করেন। যার আজীবন সদস্য ১৪৬ সাধারণ সদস্য ৯৩৮ জন। ২০০ বই নিয়ে শুরু হয় এর যাত্রা। পরবর্তীতে যার সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার। প্রতিষ্ঠানটি নামে থাকলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লাইব্রেরিতে নতুন কোনো বই পুস্তক দেওয়া হয়নি। পুরাতন যেসব বই ছিল তার মধ্যে অনেকগুলো নষ্ট ও হারিয়ে গেছে। লাইব্রেরির ভবন ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে। এক সময় পাঠকের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও বর্তমান তা একেবারেই পাঠকশূন্যে হয়ে পড়েছে। পাইকগাছা পৌরসভা ১৯৯৯ সালে অলিখিতভাবে উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ থেকে পৌরসভা নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে পৌর কতৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে লাইব্রেরি ও জাদুঘরটি ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক ৯টি সংবাদপত্র লাইব্রেরিতে নেওয়া হতো। কিন্তু ২ বছর ধরে বিল পরিশোধ না করায় ৫ মাস ধরে তা বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাদুঘরের জানালা দরজা ভাঙ্গা, ভেতরে যেসব দর্লভ জিনিষপত্র ছিল তার কিছুই নেই। আছে ভাঙ্গা ছেড়াছুটা আলমারি, কাঠকুটো। ময়লা আবর্জনায় ভরা কক্ষ। কতদিন যে যাদুঘরের কক্ষটি খোলা হয়নি তাও বলতে পারলো না মাষ্টার রোলে দায়িত্বে থাকা লাইব্রেরিয়ান শেখ রাকিব সিফাত।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স.ম. বাবর আলী বলেন, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এটা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। তখন উদ্দেশ্যও সফল হলেও প্রতিষ্ঠানটি এভাবে ধ্বংস হবে ভাবতে পারিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মাহের নাজনীন বলেন, লাইব্রেরী ও যাদুঘরটি কোন অবস্থায় আছে তা খোঁজ খবর নিবো। কীভাবে এটা সচল করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।