প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
কাইল ভেরেইনা ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন গতকাল। ১০৬ রান করে বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার বল হাতে তাইজুল ইসলাম জাদু দেখিয়েছেন। তাঁর ঘূর্ণিতে প্রোটিয়ারা ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে মাঠে নামেন ভেরেইনা, তখন তাঁর দল পিছিয়ে ৭ রানে। সেই ভেরেইনা আউট হয়েছে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে, সফরকারীদের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন তিনি, মিরাজের বলে লিটন দাস যখন তাকে স্ট্যাম্পিং করে আউট করেন দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৩০৮, লিড ২০২ রানের।
দলের প্রয়োজনের সময়ে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন ভেরেইনা। প্রথম দিন শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে। আজ দিনের প্রথম সেশনেই নিজের ফিফটি তুলে নেন ভেরেইনা। উইয়ান মুল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ১১৯ রানের জুটি। এ দুজনের জুটিতেই লিড বাড়াতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।এদিকে মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে আগে হাসান মাহমুদের বলে আউট হন মুল্ডার, প্রোটিয়া এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরেন ৫৪ রান করে। একই ওভারে বোল্ড হন কেশব মহারাজও। তবে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও দলকে বড় লিড এনে দিয়েছেন ভেরেইনা, তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ডেন পিট।
পিটকে সঙ্গে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েছিলেন ভেরেইনা। মিরপুরের উইকেটে যেখানে ব্যাটারদের খুব একটা সুবিধা নেই, সেখানে টাইগার বোলারদের সামলে প্রোটিয়া এই ব্যাটার খেলেছেন দুর্দান্ত। মধ্যাহ্নবিরতির পর নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। এদিকে ভেরেইনার শতকের পর আউট হন পিট, ফেরার আগে তিনি ৮৭ বল খেলে করেছেন ৩২ রান।পিট ফেরার পর ভেরেইনাও আর ইনিংস খুব বেশি বড় করতে পারেননি, তিনি আউট হন মিরাজের বলে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে। তবে ব্যক্তিগত ১১৪ রানে তিনি যখন আউট হন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় সংগ্রহ ৩০৮ রান, লিড ২০২ রানের।