প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
নগর সুশাসনের মাধ্যমে খুলনা শহরের জনগণের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সভা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) আলতাফ মিলনায়তনে এই সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেসিসির প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ।
কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ, কেসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সানজিদা বেগম, সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (চলিত দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, সিভিল সার্জন ডা. শেখ সফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া আফরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্যকর শহর প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ আহমেদ ও ডা. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ পারভেজ। সভায় সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কমিটির সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় খুলনা মহানগরীতে ‘হেলদি সিটিস : আরবান গভর্ণন্যান্স ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর শহর প্রকল্পটি ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সুইস ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশনের যৌথ উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়, যার মূল লক্ষ্য সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক সুশাসনের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশসমূহের শহর অঞ্চলের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে খুলনাসহ বিশ্বের ৫টি শহর কলম্বিয়ার বোগোটা, ক্যামেরুনের ডুয়ালা, মেক্সিকোর মেক্স্রিকো সিটি এবং তিউনিশিয়ার তিউনিস নির্বাচন করা হয়। সমন্বিত এবং অংশগ্রহণমূলক নগর সুশাসনের মাধ্যমে খুলনা মহানগরীর জনসাধারণের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
বক্তারা আরও বলেন, জনগোষ্ঠীর আবাসস্থলে ঘনবসতি, নিরাপদ পানির মতো মৌলিক পরিবেশের অভাব, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন এর অভাব, সংক্রামক রোগের বিস্তার এবং শহর-অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান অসংক্রামক রোগের বিস্তার এর কারণে বাড়ছে সহিংসতা, মানসিক রোগ এবং অকাল মৃত্যু। এই স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলি সমাজ এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান এবং দাতা সংস্থাসমূহ কাজ করছে। নগর উন্নয়নের সাথে সংযুক্ত সমস্ত প্রতিষ্ঠান এর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের উদ্যোগসমূহের সমন্বয় সাধন এবং এই প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে একটি স্বাস্থ্যকর শহর গড়ে তোলা সম্ভব।