২০১১ সাল থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন ইকবাল। তার বিরুদ্ধে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকার পাশাপাশি গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ, গুলশান-২-এ হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ও রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নির্মাণের অভিযোগও রয়েছে। মূলত, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত এক যুগে অনেক কোম্পানির মালিক হয়েছেন ইকবাল। ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে থেকে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে। তা ছাড়া সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।
গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের সময়ের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জব্দ করা হচ্ছে তাদের ব্যাংক হিসাব। সেই ধারাবাহিকতায় এবার চিত্রনায়িকা শিল্পীর স্বামী ইকবালসহ পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হলো।
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে একটানা কয়েক বছর চলচ্চিত্রে কাজ করেন শিল্পী। একটা সময় ঢালিউডে অশ্লীলতার দাপটে শিল্পী চলচ্চিত্র অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় ছেড়ে দিয়েছি, কারণ তখন চলচ্চিত্র অশ্লীলতায় ভরে গিয়েছিল। তাই ২০০১ সালের পর আমি চলচ্চিত্র ছেড়ে তখন নাটক করা শুরু করেছি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত নাটকে কাজ করেছি।’ নায়িকা শিল্পীর প্রথম ছবি মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার কমান্ডো’ ১৯৯৫ সালের ১১ মে মুক্তি পায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘প্রিয়জন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শেষ প্রতীক্ষা’, ‘মুক্তি চাই’, ‘লাভলেটার’, ‘বীর সন্তান’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘দোস্ত আমার দুশমন’, ‘গৃহবধূ’, ‘কে আমার বাবা’, ‘রাজপথের রাজা’, ‘শক্তের ভক্ত’ ও ‘সুজনবন্ধু’।