এদিকে জিরানী এলাকায় হামিম গ্রুপের ‘দ্যাটস ইট নিট লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকেরা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাজে যাচ্ছিলেন। চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অতিক্রম করার সময় নবীনগরগামী পলাশ পরিবহনের একটি বাস শ্রমিকদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে অন্তত ছয় শ্রমিক আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এ সময় দুর্ঘটনায় এক নারী শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি বাসও ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে দুই ঘণ্টা পর যানচলাচল শুরু হয়। কিন্তু বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি নিয়ে ফের মহাসড়কে নামেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা যখন আন্দোলন করছিল সে সময় সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ আজ বেতন পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছিল। সেই কথা অনুযায়ী তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে শ্রমিকেরা সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন। বেতন–ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না।
কাশিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা টানা ৫দিন ধরে তাদের অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। বেক্সিমকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) আব্দুল লতিফ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছেন তারা ব্যাংক থেকে আর্থিক সাপোর্ট চেয়েছিলেন, ব্যাংক থেকে এক মাসের টাকা সাপোর্ট পাওয়া গেছে। আগামীকাল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।