পরী তখন তিনি ছিলেন গ্রামের আর দশজন সাধারণ তরুণীর মতোই। যাকে এখন পরীমণি নামে সবাই চিনলেও আদতে তার আসল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। ২০১০ সালে শামসুন্নাহার স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কে চাচাতো ভাই ইসমাইল হোসেন জমাদ্দারে বিয়ে হয়। যদিও সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি। দুই বছরের মাথায় ইসমাইলকে ডিভোর্স দেন স্মৃতি।সময়ের ব্যবধানে তখন পরীমণির পোশাক আশাক থেকে শুরু করে চেহারায় ছিল নানান ভিন্নতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে সময়ের বেশ কিছু ছবি ছড়িয়েও পড়েছিল বেশ আগে।
২০১০ সালের সেই পরীমণি ও এখনকার পরীমণির মাঝে যেন বিস্তর ফারাক। সে সময় পরীমণি তার নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতেন বলে বিভিন্ন মহলে উঠে এসেছে। অর্থাৎ, ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তখনই, যে তার প্রথম স্বামী। বিবাহ বিচ্ছেদের পর ইসমাইল বা তার পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই বলেও জানা গেছে।শুক্রবার রাতে ইসমাইলের মৃত্যুর পর তার চাচা কবির হোসেন জানান, তালাকের পরে ইসমাইল আবারও বিয়ে করেছিলেন। সেই ঘরে তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু সঙ্গী পালটে এখানেই থামেননি স্মৃতি ওরফে পরীমণি।
আলোচিত এই নায়িকার কাগজে-কলমে তার চারটি বিয়ের খবর কারোরই অজানা নয়। ইসমাইলকে তালাক দেয়ার পর ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল ফেরদৌস কবীর সৌরভ নামে ফুটবলারের সঙ্গে বিয়ে হয় পরীমণির। সেই দ্বিতীয় স্বামী নানান আপত্তি, অভিযোগ তোলেন পরীমণির বিরুদ্ধে।সৌরভ জানান, কলেজে পড়ার সময়ই মিডিয়ার এক ব্যক্তির নজরে আসেন শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি। তার কিছু ছবি পত্রপত্রিকাকে ছাপেন ওই ব্যক্তি। এরপর থেকেই গ্ল্যামার দুনিয়ায় যাত্রা শুরু হয় তার। শামসুন্নাহার স্মৃতি নিজের নাম বদলে রাখেন ‘পরীবানু’। পরে অবশ্য সেই নাম বদলে রাখেন পরীমণি।
আবার, নায়িকা হওয়ার পর ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল বিনোদন সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গে বাগদান সারেন পরীমণি। কিন্তু বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। তবে ঢালিউডে কান পাতলে শোনা যায়, পরীমণি আর তামিমের গোপনে বিয়েও হয়েছিল। কিন্তু তা টেকেনি।এরপর থিয়েটারকর্মী ও চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে খুবই অল্প দিনের পরিচয়ে বিয়ে করেন পরীমণি। এই সংসার টেকেনি তিন মাসও। রনির সঙ্গে ডিভোর্সের কিছুদিন পরই অভিনেতা শরিফুল রাজকে বিয়ে করেন পরীমণি। রাজের সন্তানের মাও হয়েছেন। কিন্তু সেই সংসারও এখন নেই।