তিনি আরও বলেন, বহু শাসক দেখেছি কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন দেখি নাই। জনগণকে বুঝতে হবে তেঁতুল গাছ লাগিয়ে যেমন মিষ্টি ফলের আশা করা যায় না, তেমনিভাবে চোরের মাধ্যমে চুরিমুক্ত দেশ হতে পারে না। বার বার বাংলাদেশে ব্যক্তি পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন হয় নাই।
মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম হলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পুরো দেশের সকল গরীব দারিদ্র্য-সীমার উপরে চলে যাবে। ইসলামী হুকুমত কায়েম হলে মানুষ মুক্তি পাবে, শান্তি পাবে ও স্বাধীনতা পাবে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক, সে যে ধর্মেরই হোকে না কোনো, সম-অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।নতুন নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, জুলুম, অত্যাচার-অবিচার, পেশি শক্তির ব্যবহার ও অবৈধ টাকার ছড়াছড়ি বন্ধের জন্য সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। যেখানে কোনো ব্যক্তিকে ভোট দিবে না, প্রতীককে ভোট দিবে। তাই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন দিতে হবে।ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা দক্ষিণের সভাপতি আলহাজ্ব আলাউদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহা. সিরাজুল ইসলাম।