বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে অনেকটাই বেশি দামে। এছাড়া সব ধরনের চালের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে নতুন ও পুরাতন আলুর দাম। দাম বৃদ্ধির কারণে এখন অনেক ক্রেতাও আলু কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। রোববার (২৪ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে, নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাজারে এই দাম আরও ৫ টাকা বেশি লক্ষ করা গেছে। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ আগেও প্রকার ভেদে আলুর দাম ছিল ৫০থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে। অপরদিকে সবজি বাজারেও নেই স্বস্তি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সব ধরণের সবজির দাম। অতিরিক্ত দামের কারণে নাভিশ্বাস ক্রেতারাও।সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, মূলা ৪০ টাকা, পিয়াজ ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০টাকা, পটল ৫০ টাকা, শিম ৮০টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, শসা ৫০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, এবং পুঁইশাক আটি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, দেশের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের প্রভাব এখনও কাটেনি। একটি মহল এখনও তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। সাধারণ মানুষ এখন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে বেশ হতাশ। বাজারে চালের দাম এখন আলুর চেয়েও কম অথচ আলুর দাম বেড়ে গেছে। ফলে খেটে খাওয়া মানুষদের পাতে এখন আলুই উঠছে না।
বীরগঞ্জ পৌর শহরের বাজারের সবজি ক্রেতা নারায়ণ চন্দ্র রায় জানান, তিনি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালান। বাজারের যে অবস্থা, তাতে শীতের সবজি বাজারে তেমন নেই এবং আলুর দামও অনেক বেড়েছে। শীতের সবজি বাজারে আগেই আসতে শুরু করে কিন্তু এবার সেটি এখনো আসেনি পৌরশহরের বলাকা মোড়ে বাজারে সবজি কিনতে আসা জগদীশ রায় বলেন, আগে ঘরে তরিতরকারি না থাকলে অন্তত আলু ভর্তা করে ভাত খাওয়া যেত, কিন্তু এখন আর সে উপায়ও নেই। আলুর দাম অনেক বেড়েছে, এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম তো আছেই। তবে ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে ভালো মানের চাল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু চালের চেয়ে বর্তমানে আলুর দাম অনেক বেশি।