খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন মো. ইউনুছ নামের এক ব্যক্তি।
এ ব্যাপারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি বরাবর মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি চেয়ে একটি লিখিত আবেদনও করেছেন বলে তিনি জানান।
জানা যায়, গত কিছুদিন পূর্বে পাহাড়ি বাঙ্গালীদের মাঝে চলমান বিরোধের সময় ০১অক্টোবর ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল চুরির অভিযোগ এনে খাগড়াছড়ি সদর থানার মামলা নং-০৬, তারিখ-৮/১০/২৪ইং দায়ের করেন সদক চাকমা(৩০), পিতা- ভুজেন্দ্র লাল চাকমা, ৪ নং পৌর ওয়ার্ড, মহাজন পাড়া। যা পরবর্তীতে জিআর মামলা নং-১১৯ এ পরিগনিত হয়।
মামলায় মো. ইউনুছ, পিতা-ধন মিয়াকে ১নং আসামি করে আরো অজ্ঞাত নামা ১৫০/২০০ জনের উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনা ব্যাক্ত করতে গিয়ে মো. ইউনুছ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। ডাক্তারের পরামর্শে দুরারোগ্য ব্যাধীর চিকিৎসা করাতে ২৬ সেপ্টেম্বর'২৪ হতে ০২অক্টোবর'২৪ পর্যন্ত স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলাম। ফেমিলিসহ মোবাইলের ক্যামেরার মাধ্যমে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তোলা সেলফিই(ছবি) তার প্রমান। তাছাড়া ২৬সেেপ্টম্বর ও ০২অক্টোবর বাসযোগে যাতায়াতের টিকেট ও ঘটনার সময় চট্টগ্রামে অবস্থানের ব্যাপার আমার কথার সত্যতা নিশ্চিত হবে।
মূলত: কতিপয় উপজাতি ব্যক্তি বাগেশ চাকমা ও পাইচিং মারমার সহিত ২০১৮সাল থেকে আমার জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তাদের ইন্ধনেই হয়রানি ও এলাকা ছাড়া করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কল্পকাহিনী উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে আমার ধারণা। অথচ ঘটনার সময় আমি এই জেলাতেই ছিলাম না। ০১অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার অম্বরীয় মিত্রের প্রেসক্রিপশন রয়েছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষায় আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে নিরপেক্ষ তদন্তের অনুরোধ করছি।