প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-ফ্যাসাদের দিকে ইঙ্গিত করে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, আমার আশঙ্কা হচ্ছে, ১৯৪৭ সালে যে পরিস্থিতি ছিল, এখন আমাদের সেদিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তরুণরা যখন চাকরি পাচ্ছে না, ভালো হাসপাতাল নেই, শিক্ষা নেই; আর তারা সড়কের অবস্থার উন্নতি না করে মন্দিরের খোঁজে মসজিদ ভাঙার চেষ্টা করছে।উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে মুঘল আমলের শাহি জামে মসজিদের স্থানে মন্দির ছিল- এমন দাবি নিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি গোষ্ঠী আদালতে যান। সম্প্রতি এমন প্রেক্ষাপটে সেখানে স্থানীয়দের ওপর পুলিশ গুলি চালালে ৪ জন মুসলিম নিহত হন।এ ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ উল্লেখ করে জম্মু-কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ নেত্রী মেহবুবা বলেন, কেউ কেউ দোকানে কাজ করছিলেন, অথচ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, ভারতেও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হয়। তাহলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না।রাজস্থানের আজমির সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির দরগা নিয়েও একই ধরনের বিতর্কের কথা টেনে আনেন মেহবুবা। তিনি বলেন, আজমির শরিফ দরগায় সব ধর্মের মানুষ প্রার্থনা করেন, এটা ভ্রাতৃত্বের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখন তারা মন্দিরের সন্ধানের জন্য এটি খনন করার চেষ্টা করছে।