প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
উপকূল দিয়ে এনে শহরে সরবরাহ কালে অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি ছয়টি এলজি, ৭ রাউন্ড কার্তুজসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাট জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি তল্লাশি করে অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। একইদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ঝাউবনে পার্টিকে অস্ত্র হস্তান্তর করতে প্রস্তুতি নেয়ার কালে সদর থানা পুলিশের সদস্যরা দুই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এসপি মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।খুরুশকুলে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লিংক রোড় মুহুরি পাড়ার বাসিন্দা বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮) এবং একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। সিএনজি তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি ৫ রাউন্ড কার্তুজ এবং সিএনজিটিও উদ্ধার করা হয়।
সৈকত এলাকা হতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা উত্তর ঘোনারপাড়ার মো. জকরিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন ফয়সাল (৩৪) এবং ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা এলাকার মো. আবুল কালামের ছেলে মো. আরমান হোসেন (৩৪)।এসপি জানান, গোপন খবরে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা জানতে পারে খুরুশকুল কক্সবাজার শহরে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে। এ খবরে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম ও পরিদর্শক প্রতুল কুমার শীল, উপ-পরিদর্শক সমীরের নেতৃত্বে কুলিয়াপাড়ার সাম্পান ঘাট জাহাঙ্গীর কাশেমের প্রজেক্টের মুখ এলাকায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা টিম। সেখানে দাঁড়ানো সিএনজির চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস(৩৮) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার সিএনজিতে বিশেষ কায়দায় রাখা দুটি অস্ত্র ও কার্তুজ জব্দ করা হয়। সরবরাহের স্থান ও ব্যক্তি হিসাবে মো. ওসমানের নাম বলায় লিংক রোড হতে ওসমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ঝাউবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি এলজি ও তাজা কার্তুজসহ মহেশখালীর দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, সোমবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন ঝাউবাগান এলাকায় কিছু লোক পার্টিকে অস্ত্র সরবরাহ করতে অবস্থান করছে, এমন খবরে থানার একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই যুবক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। সন্দেহ হওয়ায় এসময় ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ওসি আরো বলেন, পরে আটকদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশী করে দেশিয় তৈরী ৪টি বন্দুক ও ২টি ৭ পয়েন্ট ৬ বোর রাইফেলের গুলি পাওয়া যায়। আটকদের স্বীকারোক্তি মতে, ঘটনাস্থলের কিছু দূরে রাখা তাদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়। আটকরা অস্ত্রগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে এবং কোথায় পাচার করছিল; তা জানতে পুলিশ কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন ওসি। কক্সবাজারের এসপি মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন এসপি।