প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু) এর মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ রমেশ চাকমা নামে ইউপিডিএফের এক সশস্ত্র সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছেন। এছাড়া গোলাগুলির কারণে মঙ্গলবার বিকেলে কোন পর্যটকবাহী গাড়ি খাগড়াছড়ি ফিরতে পারেনি।
পরিস্থিতি সম্পর্কে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, সাজেক ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার যেসকল পর্যটক সাজেক থেকে ফিরতে পারেননি তাদের ফেরার বিষয়ে বুধবার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া পর্যটক ভ্রমণের ব্যাপারে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, এলাকা নিয়ন্ত্রণে কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমার জেএসএস ও প্রসীত খিস্যার ইউপিডিএফের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনার খবর পাওয়া যায়। তবে এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় মাসের নিষেধাজ্ঞার পর গত ৫ নভেম্বর সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জিপ গাড়ির লাইনম্যান ইয়াছিন আরাফত জানান, মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৫-৩০টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। যাতে প্রায় চার শতাধিক পর্যটক রয়েছে। সকালে সাজেক থেকে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি খাগড়াছড়ি এসেছে।
দুই আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মঙ্গলবার বিকালে কোনও পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি। সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, সাজেক ও মাচালংয়ের ৭নং ওয়ার্ডের শিপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। গোলাগুলির কারণে বিকেলে প্রায় ১০টি পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।