প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
প্রতিটি নারীর সবচেয়ে বড় শক্তি আত্মবিশ্বাস। এটি তাকে বাধা ঠেলে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলেও একজন নারী আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। আর এটি শুধু তার নিজের জীবনেই পরিবর্তন আনে না, অন্যদেরও নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে উৎসাহ দেয়। আত্মবিশ্বাস পরিবর্তন আনতে পারে এবং নারীদের জন্য ধাপে ধাপে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।প্রায় ২০ বছর ধরে ভিট বাংলাদেশের নারীদের পাশে আছে। ভিট নারীদের আত্মবিশ্বাসী ও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করছে। দুই দশকের পথচলা উদযাপন করতে ভিট বাংলাদেশ শুরু করেছে স্পেশাল টেলিভিশন সিরিজ ‘এগিয়ে যাও আত্মবিশ্বাসে’। এই সিরিজে সেইসব নারীদের সম্মান জানানো হচ্ছে যারা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও হাল ছেড়ে দেননি। বরং সাহসের সঙ্গে স্থিরতা ও সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
‘এগিয়ে যাও আত্মবিশ্বাসে’-এর প্রতিটি এপিসোডে সেই নারীরা নিজের গল্প বলছেন যারা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ঠেলে জীবনে পরিবর্তন এনেছেন। তাদেরইএকজন নাজমা আরা বেগম পপি। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন তিনি। অনেকেই ভেবেছিলেন তার স্বপ্নযাত্রা সেখানেই থেমে গেছে, কিন্তু নাজমা সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিকল্পনা করেছিলেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণে তিনি থেমে যাননি। বরং সমাজে পরিবর্তন আনতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তার পথচলা আমাদের শেখায়, প্রকৃত মনোবল আসে হৃদয় থেকে।ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে বড় স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন ফারজানা সান। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এখন তার ডিজাইনগুলোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সেলিব্রিটি ছাড়াও অনেকেই। ফারজানার গল্প আমাদের দেখায়, কোনো কিছু অর্জনে তীব্র ইচ্ছাশক্তি ও সংকল্প থাকলে স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।
এই নারীরা অবিরাম সাহস, দৃঢ়তা এবং সংকল্পের অসাধারণ উদাহরণ। তাদের গল্পগুলোর মাধ্যমে ‘এগিয়ে যাও আত্মবিশ্বাসে’ সিরিজটি প্রমাণ করে আত্মবিশ্বাস এবং উদ্যম থাকলে আমরা যেকোনো বাধা ঠেলে এগিয়ে যেতে পারি এবং দুর্দান্ত কিছু অর্জন করতে পারি।গত ১ নভেম্বর থেকে দীপ্ত টিভিতে চলছে এই সিরিজটি যা প্রতি শুক্র ও শনিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে। এছাড়া পুনঃপ্রচারিত হচ্ছে শনি ও রবিবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে। সিরিজটি উপস্থাপনা করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল জাকিয়া বারি মম। অংশগ্রহণকারী সফল নারীদের জীবনের গল্পগুলো আন্তরিকভাবে তুলে ধরছেন তিনি।