প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
আজ থেকে সিলেটে শুরু এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর। দীর্ঘ বিরতি শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে এই টুর্নামেন্ট ফেরায় স্বস্তিতে রয়েছেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। গতকাল জার্সি উম্মোচন অনুষ্ঠানে আট দলের অধিনায়ক ও প্রতিনিধিরা সেটি নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের মতে বিপিএলের আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ায় দারুণ অভিজ্ঞতা হবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের। বিপিএলে তারা নিজেদের আরো ভালোভাবে মেলে ধরার সুযোগ পাবেন। আবার অনেকে জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হিসেবেও দেখছেন এই টুর্নামেন্টকে। এখানে ভালো করার পাশাপাশি বিপিএলে ভালো করে নজর কাড়ার পরিকল্পনার কথাও অনেকে বলেছেন।অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বিশ্বকাপ জেতানো আকবর আলী এখনো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে তিনি রংপুরের অধিনায়ক হিসেবে খেলবেন। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিপিএল বাদে ঘরোয়া ক্রিকেটে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট অনেক দিন ধরে চাচ্ছিলাম। সেই জায়গা থেকে এটি খুব ভালো একটি উদ্যোগ, এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে। আশা করছি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হবে, যেটি বিপিএলে আমাদের সহায়তা করবে।’একই কথা বলেছেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তিনি এই টুর্নামেন্টকে জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হিসেবেও দেখছেন। তার মতে, ‘বিপিএলের আগে এমন একটা আয়োজন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
খুলনার অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান হলেও তাদের প্রতিনিধি হিসেবে গতকাল উপস্থিত হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সব সময় চাই ঘরোয়া ট্রিটোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আরো বেশি হোক। এবার এনসিএল টিটোয়েন্টি হচ্ছে, এটা ভালো। বিপিএলের প্রস্তুতিতে টুর্নামেন্টটা কাজে দেবে।’ বরিশালের অধিনায়ক সোহাগ গাজী বলেছেন, ‘চেষ্টা করব মাঠের ক্রিকেটে ভালো খেলার। ভুল-ত্রুটি যতটা কম করা যায়, মাঠে চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চটা দেওয়ার।’এদিকে এই টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করছেন। তাতে অনেকেই এখানে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। এই বিষয়ে আকবর বলেছেন, ‘বিপিএলে আমাদের কম খেলোয়াড়ই খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে ১২০ জনের মতো ক্রিকেটার খেলবে। সবাই খুব রোমাঞ্চিত।’
এছাড়া জাতীয় দলের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল দীর্ঘদিন রয়েছেন দলের বাইরে। তিনি ২২ গজের লড়াইয়ে ফিরছেন এই টুর্নামেন্ট দিয়ে। খেলবেন চট্টগ্রামের হয়ে। তাক নিয়ে ইয়াসির আলী বলেছেন, ‘তামিম ইকবালের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকা দলের জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণাদায়ক। উনিও নিশ্চয়ই চাইবেন ওনার কাজটা করতে, সেরাটা দিতে, প্রস্তুতিটা ঠিকমতো করতে। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের তার উপস্থিতি উজ্জীবিত করবে।’
পাশাপাশি বিপিএলের আগে এই টুর্নামেন্টকে প্রস্তুতির বড় মঞ্চ হিসেবেও দেখছেন সবাই। আকবর বলেছেন, ‘অন্যান্য সময় জাতীয় লিগ বা বিসিএলের পর বিপিএল খেলতে হতো। সাদা বলে প্রস্তুতির সুযোগ কম থাকে। এবার টি-টোয়েন্টি খেলেই বিপিএলে যাব। তাতে সবার প্রস্তুতি ভালো হবে। বিপিএলে খেলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এটা কাজে লাগবে।’এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টির গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো সিলেটে ও প্লে অফসহ ফাইনাল মিরপুরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিপিএলের অনুষ্ঠানের কারণে সব ম্যাচই সিলেটে হবে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও স্টেডিয়ামের আউটারে প্রতিদিন দুটি করে চারটি ম্যাচ হবে। সেগুলো সব গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। ২১ ও ২২ ডিসেম্বর প্লে অফের খেলা। এরপর ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়াবে ২৪ ডিসেম্বর। এবারের আসরের পৃষ্ঠপোষক আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, সহযোগী পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন।