প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা গণহত্যার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হওয়ার আগে ১০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি আজমি আবু আল-শার তার ফোনের নোটে লিখেছিল, ‘মা-বাবা, আমি যদি মারা যাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমার মনে হচ্ছে আমার হাতে আর বেশি সময় নেই।’আজমির পরিবার সম্প্রতি ফোনে নোট খুঁজে পেয়েছে। ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ লেখা এই নোট মৃত্যু, ধ্বংস এবং প্রিয়জনদের হারানোসহ যুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতার একটি মর্মস্পর্শী বার্তা প্রকাশ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া বার্তাটি পড়ে বহু মানুষ মর্মাহত। আজমির নোটে লেখা ছিল, ‘আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। মা, বাবা, ভাই-বোন নাঈমা, শাহেদ, মরিয়ম ও মাহমুদ, যদি আমি মারা যাই তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। মা ও বাবা, আমি যদি কখনো তোমাদের বিরক্ত করে থাকি তবে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আমার মনে হচ্ছে আমার হাতে আর বেশি সময় নেই।’আজমী আরও লিখেছিল, ‘মা, দয়া করে মাহমুদের খেয়াল রেখো। নাঈমা, তোমাকে বিরক্ত করার জন্য আমি দুঃখিত। শাহেদ, মরিয়ম, মাহমুদ—তোমাদের সবার কাছে আমি দুঃখিত। আমি শপথ করে বলছি—আমি তোমাদের সবাইকে ভালোবাসি; দাদী, দাদা, আমার চাচা, সবাইকে…। আশা করি তারাও আমাকে ক্ষমা করবে।’
গাজায় ১৭ হাজারের বেশি শিশু নিহত
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উপত্যকাজুরে ইসরায়েলি গণহত্যায় ১৭ হাজার ৮৬১ শিশু নিহত হয়েছে।যুদ্ধের সময় অনেক শিশু তাদের হাত ও দেহে নিজের নাম লিখেছিল, যাতে উদ্ধারকারীরা তাদের সনাক্ত করতে পারে। এটি গাজার শিশুরা যে ভয়াবহতা সহ্য করেছে, তারই একটি বেদনাদায়ক প্রতিচ্ছবি।গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং ইসরায়েলের গণহত্যা যুদ্ধ স্থগিত করে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৪৭,৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসয়ায়েলি সেনারা, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।