সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
‘জুলাই’ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল কেন, জানালেন আসিফ মাহমুদ রেস্ট হাউসে নারীকাণ্ডের সেই ওসি প্রত্যাহার চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করবেন যেভাবে মনে আছে তো, কারেন্টের খাম্বা কেস: ফয়জুল করিম জুলাইয়ে ‘প্রোফাইল লাল’ করার পেছনে ছিলেন শিবির নেতা ফরহাদ জামায়াত আমীরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ। আশুরা উপলক্ষে খুলনায় শিয়া সম্প্রদায়ের সাথে কেএমপির মতবিনিময় সভা: নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসন। রূপসায় রনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টিটু গ্রেপ্তার। জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রয়োজন: জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলামের ফুলেল শুভেচ্ছায় শাপলা এওয়ার্ড জয়ী কাব স্কাউট জারিফ ওয়ালীকে সংবর্ধনা। যশোরে সাড়ে চার কোটি টাকার সোনারবারসহ আটক ২ বীরগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হ্যামকো গ্রুপে দুর্ধর্ষ ডাকাতি: কোটি টাকার কাঁচামাল লুট, নিরাপত্তা কর্মী-শ্রমিক জিম্মি। খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবক আহত। এইচএসসি পরীক্ষার্থী কাওসারের আত্মহত্যা: বেতাগীতে শোকের ছায়া ফ্যাসিবাদের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করা হবে — আমীরে জামায়াত। আটরশির মুরিদ খন্দকার শাহজাদা মেম্বারের জীবন কাহিনী । ২৬ জুলাই খুলনায় চরমোনাই পীরের গনসমাবেশ ইসালামী আন্দোলনের যৌথসভা  খুলনা ওয়েস্টার্ন ইন হোটেলে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার কালীগঞ্জে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেষ্টুনীসহ বৃক্ষ রোপন ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন

পলাতক নেতাদের ২৬ মার্চ দেশে ফেরা উচিত, বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা

ডেস্ক রিপোর্টঃ / ৫৬
আপডেটঃ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হসিনার সরকারের পতনের প্রায় পাঁচ মাস পর ভারতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেক এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি সুপরিকল্পিত প্রচারণার অংশ হিসেবে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এই পত্রিকাটি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাংলাদেশ সরকারের কোনো বক্তব্য নেয়নি।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, নাহিম রাজ্জাক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পঙ্কজ দেবনাথ, সাইফুজ্জামান শিখর, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মাহবুবুল আলম হানিফের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম হলো— ‘গোপনে আশ্রয় নিয়ে হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা, আইনের শাসন ফেরার অপেক্ষায়।’ এই প্রতিবেদনে মূলত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নিয়ম মানা হয়নি বলে দাবি করছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের আমলে শাসন প্রক্রিয়া ও রাজনীতিতে ভুল করার কথা স্বীকার করেছেন তারা। নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তারা বলেন, তাদের দল এখন ‘ছিন্নভিন্ন ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে’ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছার কথা জানান তারা।তাদের অনুমান, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের এক তৃতীয়াংশ কারাগারে, এক তৃতীয়াংশ দেশের বাইরে আত্মগোপনে এবং বাকি নেতারা দেশের ভেতরেই লুকিয়ে রয়েছেন।

সাবেক মক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী এখন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে আছেন। তাদের অনেকের খাবার কিনে খাওয়ার মতো টাকাও নেই। তবুও, তৃণমূল কর্মীদের মনোবল শক্ত আছে। বিদেশে আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত গঠনে সাহায্য করার জন্য আমরা ভারতের দিকে তাকিয়ে আছি।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সিনিয়র নেতারা মনে করেন আমাদের সবার ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া উচিত।’আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রায় সবার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। তার মতে, আওয়ামী লীগের নেতারা ‘ভয়াবহ’ এক পরিস্থিতিতে ‘অসহায়’ অবস্থায় আত্মগোপনে রয়েছেন।

নাহিম রাজ্জাক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো বিচারিক অধিকার নেই। কেউ জামিন পাচ্ছেন না। আমরা জানি, যদি দেশে ফিরে নির্বাচনের দাবি জানাই, তাহলে আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হবে। আওয়ামী লীগ আলোচনায় বসতে এবং নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত, কিন্তু এর জন্য কোনো পরিবেশ নেই। এখনই আমাদের পক্ষে মাঠে থাকা বা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়।’দলকে উজ্জীবিত করতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ‘জোরালো আলোচনা’ চলছে বলে জানান নাহিম রাজ্জাক। তিনি বলেন, ৩০-৪০ জন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে যুক্ত আছেন।

এই গ্রুপের একজন বাহাউদ্দিন নাছিম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, আত্মগোপনে থেকেও তিনি বাংলাদেশের প্রায় সব জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন নেতাকর্মীদের থেকে ২০০-৩০০টি কল পাই। এভাবেই আওয়ামী লীগের নেতারা কর্মীদের সঙ্গে এবং কর্মীরা জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে, আমরা বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকব।

বেশ কয়েকজন নেতা দাবি করেন, ভারতে থাকাকালীনও শেখ হাসিনা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দলের নেতাদের সঙ্গে ‘নিয়মিত’ যোগাযোগ রাখেন। এরকম কিছু গ্রুপে শেখ হাসিনা ‘আপা’ নামে যুক্ত আছেন।সাবেক এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, বাংলাদেশে থাকা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন শেখ হাসিনা।তার নিজের সঙ্গেও শেখ হাসিনার যোগাযোগ থাকার কথা জানিয়ে পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।’

মোজাম্মেল হক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে বলেন, ‘গত আগস্টে থানা থেকে লুট হওয়া হাজার হাজার ছোট অস্ত্র উদ্ধারের কোনো চেষ্টা করা হয়নি। আমাদের সন্দেহ সমুদ্রপথে আরও অস্ত্র বাংলাদেশে আসছে। পাকিস্তান যেমন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, তেমনিভাবে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’আর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘২০২৪ সালের আগস্টের আগেও আওয়ামী লীগ বহু বছর ধরে বিরোধী দলে ছিল। কিন্তু দলটি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আগে কখনো হয়নি।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ টেলিফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, তাদের দলের তিন লাখের বেশি কর্মী এখন বাংলাদেশে আত্মগোপনে আছেন। এছাড়া বহু নেতা বিদেশে আত্মগোপনে আছেন।তিনি মনে করেন ৫ আগস্টের আগের হত্যাকাণ্ডের জন্য শুধু আওয়ামী লীগকে দায়ী করার ‘অন্যায়’। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। তাহলে এর জন্য দায়ী কে? যদি তাকে অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকেও অভিযুক্ত করা উচিত। শেখ হাসিনা যদি বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে তারও (অধ্যাপক ইউনূস) হওয়া উচিত।’

‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট’ এর প্রতিক্রিয়া

পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট’। তারা বলেছে, সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের অংশ হিসেবে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের কথার ওপর ভিত্তি করে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। পত্রিকাটি যাদের বক্তব্য প্রকাশ করেছে তারা সবাই সন্দেহভাজন অপরাধী ও গণহত্যায় অভিযুক্ত। সাংবাদিকতার মৌলিক নিয়ম অনুসরণ না করে প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্যে পরিপূর্ণ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Theme Created By ThemesDealer.Com