প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলিস্তিনি-আমেরিকান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে চরমপন্থী বলার অভিযোগে একজন সরকারি শিক্ষককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ, ফিলিস্তিনবিরোধী ও ইহুদিবিদ্বেষ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সেন্ট্রাল ডাউফিন স্কুল ডিস্ট্রিক্ট জানিয়েছে, গত সপ্তাহে স্কুল পরবর্তী একটি অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষক অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে তারা জানতে পেরেছে। ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষককে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বর্ণবাদী বক্তব্যের জন্য কোনো ছাড় নেই।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস বলেছে, ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ওই শিক্ষার্থী আসন পরিবর্তনের অনুরোধ জানালে ওই শিক্ষক বলেন, 'আমি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমঝোতা করি না'। কর্তৃপক্ষ শিক্ষক বা ছাত্রের নাম প্রকাশ করেনি। তবে জানিয়েছে, তারা শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের উপর মুসলিমবিরোধী প্রভাব নতুন নয়। সাম্প্রতিক সময়ে টেক্সাসে ৩ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান এক মেয়েকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ইলিনয় অঞ্চলে ৬ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান এক ছেলেকে মারাত্মক ছুরিকাঘাত করা হয়।
অন্যান্য ঘটনার মধ্যে রয়েছে - টেক্সাসে এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত, নিউইয়র্কে এক মুসলিম ব্যক্তিকে মারধর, ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস হামলা এবং ভারমন্টে তিন ফিলিস্তিনি আমেরিকান শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স