প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও বাস্তবে ছিল ভিন্নতা। কাগজে-কলমে পাকিস্তানের নাম ছিল ঠিকই, কিন্তু হাইব্রিড মডেলের কারণে আয়োজক হিসেবে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতও। দেশটির দুবাইয়ে অনেকটা স্বাগতিক দেশের মতোই খেলেছে ভারত। কোথাও ভ্রমণ কিংবা ভেন্যু পরিবর্তনও করতে হয়নি রোহিত শর্মাদের।
সাধারণত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোতে এমনটি দেখা যায় না। যেখানে আয়োজক দেশ হয়েও পাকিস্তানকে একাধিক জায়গা ও দেশে ভ্রমণ করে খেলতে হয়েছে। সেখানে ভারত কেবল দুবাইয়েই বসেছিল। তাদের প্রতিপক্ষ দলগুলোকে একবার পাকিস্তান ও একবার দুবাইয়ে উড়তে হয়েছে। রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডকে ভ্রমণটা করতে হয়েছে একটু বেশিই। তবে সেটি নিয়ে আপত্তি নেই দলটির। টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের ম্যাচ খেলার জন্য পাকিস্তানের করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে যেতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। এরপরে ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য দুবাই উড়াল দিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে সেমিফাইনাল খেলতে আবারও পাকিস্তানে গিয়েছিল দলটি। লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনাল খেলার জন্য আবারও দুবাই যেতে হয়েছে কিউইদের। সবমিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট খেলার জন্য নিউজিল্যান্ডকে ৭ হাজার ৪৮ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হয়েছে। দুই দেশে এই টুর্নামেন্ট না হলে এভাবে কোনো দলকে ভ্রমণ করতে হতো না। তবে এত ভ্রমণ করেও কোনো অভিযোগ নেই নিউজিল্যান্ডের। কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার বলেছেন, 'আমরা আসলে কোনো কিছু নিয়ে অভিযোগ করতে চাই না। টুর্নামেন্ট যে পথে এগিয়েছে আমরাও কেবল এটির সঙ্গে এগিয়ে গেছি। আমরা এভাবেই কাজ করতে পছন্দ করি। টুর্নামেন্ট জুড়ে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে পেরে আমরা বেশ গর্বিত।'