প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে (কমেক) প্রস্তাবিত ৫০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল দ্রুত নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজ ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।এতে বলা হয়, ২০০৮ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে কলেজটি। খুব স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও অচিরেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটি। নানা শূন্যতার মধ্যেও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ফাইনাল প্রোফেশনাল পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে ১১টি এমবিবিএস ব্যাচ বের হয়েছে। বাড়ছে শিক্ষার্থী সংখ্যাও। তবু কাটেনি সংকট ও অনিশ্চয়তা। প্রতিষ্ঠার দেড় যুগেও আলোর মুখ দেখেনি স্থায়ী ৫০০ শয্যা আধুনিক হাসপাতাল। এখনো দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার মাড়িয়ে নিয়মিত ক্লিনিক্যাল ক্লাসে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। যা সময় সাপেক্ষ ও ভোগান্তির।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় ২৮ লাখ জনগোষ্ঠীর সেবায় কক্সবাজার জেলা সদরে মাত্র ২৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল রয়েছে। এতে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার রোগী চিকিত্সা নেন, ভর্তি থাকেন ৭০০ থেকে ১ হাজার রোগী। অতিরিক্ত রোগী ফ্লোরে কিংবা সিঁড়ির পাশে, করিডোরে অবস্থান নেন। এছাড়া রয়েছে হেমাটোলজি, হেপাটোলজি, আপথ্যালমলজি, সাইকিয়াট্রি, নিউরোমেডিসিন, নিউরোসার্জারি, এনআইসিইউসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সংকট। নেই কোনো বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট। এ বিভাগগুলোর সংকটে প্রায়ই রোগীকে রেফার করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বা ঢাকায়।
তারা আরও জানান, মেডিক্যাল শিক্ষার উল্লেখযোগ্য বিষয় ব্যাবহারিক প্রশিক্ষণ। বিএমডিসির নিয়মানুসারে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের টিচিং হাসপাতাল থাকা আবশ্যক। এটি এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ল্যাবরেটরি হিসাবে কাজ করে। তৃতীয় বর্ষ থেকেই হাসপাতালে ওয়ার্ড ডিউটি করতে হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু ১৭ বছরেও কমেক শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র হাসপাতাল পায়নি। আর জেলাবাসী পায়নি কমেক হাসপাতালে চিকিত্সাসেবার সুযোগ। ২০১৭ সালে কমেক হাসপাতালের ভিত্তি স্থাপন হলেও অদ্যাবধি শুরু হয়নি নির্মাণকাজ।