প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
এলজিইডির প্রধান কার্যালয় থেকে গাইবান্ধা এলজিইডির সেই নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গাইবান্ধা এলজিইডি কার্যালয় থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি গণমাধ্যমের কাছে আসে। রোববার (১৬ মার্চ) এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) আবদুর রশীদ মিয়ার সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম গত ১৩ মার্চ কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ফলে জরুরী প্রয়োজনে কর্মস্থলে তাকে না পাওয়ায় সরকারি কাজে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ওই প্রকৌশলীর কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।চিঠিতে নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা চিঠি পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে কারণ দর্শানো চিঠি পেয়েছেন কিনা তা জানতে মঙ্গলবার গাইবান্ধা এলজিইডির সেই নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নাটোর–বগুড়া মহাসড়কে যানবাহনে তল্লাশি করছিলেন। দিবাগত রাত দুইটার দিকে বগুড়া থেকে নাটোর অভিমুখে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির সময় গাড়ির পেছনের ডালায় বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পান তারা। এ সময় গাড়িতে থাকা আরোহী ছাবিউল ইসলাম নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেন। পরে তাকে ও গাড়ির চালককে সিংড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, শুক্রবার দুপুরে ওই প্রকৌশলীর নিকট থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে তার এক আত্মীয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়। এতে তিনি উল্লেখ করেন তদন্তের স্বার্থে যেকোনো সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবেন। এছাড়া এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়।
ওই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু আহমেদ জানান, গাড়ি থেকে জব্দ করা টাকাগুলো ওই প্রকৌশলী জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি। তাই টাকার বৈধতা নিরূপণের জন্য তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন পাঠানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে টাকার উৎস সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, জব্দ করা টাকাগুলো আদালতে নির্দেশ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।