প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
সরকারের গ্রাউন্ডওয়াটার টাস্কফোর্স-২০০৪, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সুপারিশের আলোকে ভূগর্ভস্থ পানির যথাযথ ও টেকসই ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা ও পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানের হাইড্রোজিওলজিষ্ট পেশাজীবীগণের তত্ত্বাবধানে একটি পৃথক ও একক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের আরর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠাসহ প্রাথমিক থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ভূতত্ত্ব বিষয়। এছাড়া সরকারি যেসব সংস্থায় ভূতত্ত্ববিদ পদ রয়েছে সেসব পদকে বিসিএস (ভূতত্ত্ব) ক্যাডারের আওতাভূক্ত করা হলে, ভূতত্ত্ব পেশার চাকরি বাংলাদেশের উন্নয়নের পথেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক সমিতি নামের সংগঠনের নেতারা এই আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, বড়মাত্রার ভ‚মিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় ভূতাত্ত্বিক জ্ঞান বৃদ্ধির বিকল্প নেই। পানিসম্পদের ব্যবহারে ভূতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও সমীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে ভূতাত্ত্বিকবিদরা বঞ্চিত হচ্ছেন। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ভূতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের আবেদন করার কোন সুযোগ রাখা হয়নি যা জাতীয় উন্নয়ন নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সরকারের গ্রাউন্ডওয়াটার টাস্কফোর্স-২০০৪, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সুপারিশের আলোকে ভূগর্ভস্থ পানির যথাযথ ও টেকসই ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা ও পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানের হাইড্রোজিওলজিষ্ট পেশাজীবীগণের তত্ত্বাবধানে একটি পৃথক ও একক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের আরর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠাসহ প্রাথমিক থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ভূতত্ত্ব বিষয়। এছাড়া সরকারি যেসব সংস্থায় ভূতত্ত্ববিদ পদ রয়েছে সেসব পদকে বিসিএস (ভূতত্ত্ব) ক্যাডারের আওতাভুক্ত করা হলে, ভূতত্ত্ব পেশার চাকরি বাংলাদেশের উন্নয়নের পথেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, উপদেষ্টা এবং ভূতাত্ত্বিক ও জরিপ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. নেহাল উদ্দিন, সংগঠনের সহসভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন, সংগঠনের সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ প্রমুখ।