প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্কঃ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(কুয়েট) এর ভিসি ড. মুহাম্মাদ মাছুদ ও প্রো-ভিসি ড. শেখ শরিফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের দুই জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। সিভিল ফ্যাকাল্টির ডিন হারুন অর রশিদকে ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার রাত ১টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এর নিচতলায় প্রদর্শনী রুমে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন পড়ে শোনান । এ সময় তিনি বলেন, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা নিরসন এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনতিবিলম্বে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। তবে অন্তবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিভিল ফ্যাকাল্টির ডিন হারুন অর রশিদকে সাময়িকভাবে ভিসির দায়িত্ব দেয়া। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গান। ভিসি ও প্রো-ভিসির অব্যহতির পর পরই কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল বের করে।
গেল ১৮ ফেব্রæয়ারি ছাত্রদলের প্রচার পত্র বিলিকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষাথীদের সাথে ছাত্রদলের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষাথী আহত হন। এ ঘটনায় শিক্ষাথীরা ৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। এরকম পরিস্থিতিতে ২৫ ফেব্রæয়ারি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়। কুয়েট বন্ধ থাকার মধ্যেই গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষাথীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী সিন্ডিকেট সভায় আগামী ৪ মে ক্লাস শুরুর ঘোষনা দেয়। একই সাথে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে। শিক্ষাথীরা এটি প্রত্যাখান করে ১৫ এপ্রিল আবাসিক হলের তালা ভেঙ্গে হলে প্রবেশ করেন। পরে ভিসির অপসারনের দাবিতে এক দফা নিয়ে আন্দোলনে মাঠে নামে তারা। ২২ এপ্রিল দুপুর ৩টা থেকে আমরন অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।