প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশে এখনো প্রায় ৫ লাখ শিশু টিকার সব ডোজ সময়মতো পায় না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ শিশু উন্নয়ন তহবিল (ইউনিসেফ), দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ-২০২৫ এর শুরুতে এই তিন প্রতিষ্ঠান সতর্ক করে জানিয়েছে শিশুদের টিকা প্রদানের হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ (৮১.৬ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় থাকলেও) বড় অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়ে গেছে। প্রায় ৫ লাখ শিশুর অবস্থা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও ৪ লাখের মতো শিশু ঠিকমতো সব টিকা পায়নি এবং ৭০ হাজার (১ দশমিক ৫ শতাংশ) শিশু একেবারেই টিকা পায়নি। শহর অঞ্চলগুলোতে টিকা না পাওয়ার হার বেশি, মাত্র ৭৯ শতাংশ পুরোপুরি টিকা পেয়েছে, ২ দশমিক ৪ শতাংশ এক ডোজ টিকাও পায়নি এবং ৯ দশমিক ৮ শতাংশ টিকার সব ডোজ ঠিকমতো পায়নি; সেই তুলনায় গ্রামাঞ্চলগুলোতে ৮৫ শতাংশ শিশু টিকার সব ডোজ পেয়েছে।
ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও ও গ্যাভি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোরদার ও টেকসই জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে, যেখানে জনবল ও পর্যাপ্ত বরাদ্দ, শহরে টিকা প্রদানের ঘাটতি পূরণে অগ্রাধিকার প্রদান, টিকা সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, এইচপিভি টিকাদান আরও জোরালো করা এবং আরও ভালো মনিটরিং ও সবার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল উদ্ভাবন সম্প্রসারণের জন্য উচ্চমাত্রার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে হবে। এসব পদক্ষেপ নিলে সারা দেশে কোনো শিশুকে টিকা প্রদান থেকে বাদ না রেখে ৯৫ শতাংশের বেশি টিকা দানের লক্ষ্য অর্জনের পরিবেশ তৈরি হবে। এই বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহে গ্যাভি, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকা দিয়ে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলো থেকে প্রতিটি শিশুকে সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর, আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে দিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।বাংলাদেশে ইপিআইয়ের কারণে বর্তমানে প্রতি বছর আনুমানিক ৯৪ হাজার মানুষের জীবন রক্ষা পাচ্ছে এবং ৫০ লাখ শিশুর অসুস্থতা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে এখানে প্রতি ১ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ফলে ২৫ ডলার ফেরত আসছে, যা সত্যিই সন্তোষজনক।