লিটন কুমার ঢালী, বেতাগী:
বরগুনার বেতাগীতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুক্রবার (২ মে) উপজেলার বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনটি ছিল উৎসবমুখর এবং প্রাণবন্ত, যেখানে সংগঠনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয় এবং দেশপ্রেম ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় দলটির ভূমিকা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেতাগী উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক আলহাজ্ব মো: কামাল হোসেন খান। তিনি বলেন, “জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশের উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষায় যে সুনির্দিষ্ট পথ দেখিয়ে গেছেন, তা আমরা অনুসরণ করে চলেছি।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম সরোয়ার রিয়াদ খান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মিজান খান, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মামুন পারভেজ আসাদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শামীম হাওলাদার, পৌর শ্রমিক দলের আহবায়ক আতিকুর রহমান পল্টু, সদস্য সচিব সুজন হাওলাদার, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সোহাগ এবং পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক হাফিজুর রহমান মাসুমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তারা সবাই শ্রমিক দলের অতীত অবদান ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে কথা বলেন এবং সংগঠনের কার্যক্রম আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। বক্তারা শ্রমিক অধিকার আদায়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং বলেন, আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন কর্তৃক অনুমোদিত এই সংগঠন শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অব্যাহতভাবে ভূমিকা রেখে চলেছে।
১৯৭৯ সালের ৩ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে যুক্ত থেকে শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বেতাগীতে এমন আয়োজনের মাধ্যমে দলটির প্রতি শ্রমিক শ্রেণির আস্থা ও ভালবাসার প্রতিফলন ঘটে বলে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি শেষ হয় জাতির কল্যাণ ও সংগঠনের উত্তরোত্তর সফলতা কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।