প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
গত দুই দিন সরকারি ছুটি চললেও রাজধানী ঢাকার বাতাসের তেমন কোনো উন্নতি নেই। প্রতিদিনই ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হচ্ছে মেগাসিটি ঢাকাকে। যদিও গত দুই দিনের তুলনায় রাজধানীর শহরের বাতাসে ক্ষতিকর কণার পরিমাণ আজ কিছুটা কম হলেও দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে শহরটি। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ১৬৩ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
শনিবার (৩ মে) সকাল ১১টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।আইকিউএয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২৪৮ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে আছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ। এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। এছাড়াও একই তালিকায় ১৮২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভিয়েনামের রাজধানী হ্যানয়ের স্কোর ১৫৮ এবং রাজধানী ঢাকা ১৬৩ স্কোর নিয়ে ৩য় অবস্থানে রয়েছে।
বাতাসের গুণমান নির্ধারণের একিউআই স্কেল অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মাঝারি, ১০১-১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশের একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের জন্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে। শহরে সবুজায়ন ও গাছপালা বৃদ্ধির মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।