প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
বলিভিয়ার আমাজন অঞ্চলের কুমির বেষ্টিত এক দুর্গম জলাভূমিতে জরুরি অবতরণ করা একটি ছোট বিমানের পাঁচ যাত্রীকে ৩৬ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুমিরে পরিপূর্ণ জলাভূমির মাঝে বিমানটি অবতরণ করার পর যাত্রীরা বিমানের উপরে দাঁড়িয়ে থেকে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান।বিমানটি বৃহস্পতিবার (১ মে) উত্তর বলিভিয়ার বাউরেস থেকে ত্রিনিদাদ শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। পথিমধ্যে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে পাইলট ইটানোমাস নদীর নিকটবর্তী একটি জলাভূমিতে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন। অবতরণের পরে বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
শুক্রবার (২ মে) স্থানীয় জেলেরা বিমানটির সন্ধান পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তিনজন নারী, একজন শিশু ও ২৯ বছর বয়সী পাইলটকে উদ্ধার করা হয়।পাইলট ভেলার্দে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিমানটিতে হটাৎ ত্রুটি দেখা দিলে তিনি একটি ছোট হ্রদের পাশে বিমানটিকে অবতরণ করাতে বাধ্য হন। বিমানের চারপাশে তিন মিটারের মধ্যেই বহু কুমির ঘোরাফেরা করছিল, যার ফলে যাত্রীরা বিমান থেকে নামতে পারেননি। তিনি ধারণা করছেন, বিমানের পেট্রোল লিক হওয়ায় কুমির কাছে আসেনি। এ সময় তারা পানিতে একটি বিশাল অ্যানাকোন্ডাও দেখতে পান।
উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকাকালীন যাত্রীরা আটা খেয়ে বেঁচে ছিলেন। জল পানের ব্যবস্থা না থাকায় এবং চারপাশে কুমিরের কারণে তারা কোনও দিকেই যেতে পারেননি।বেনি অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক রুবেন টোরেস বলেন, এ ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দুর্গম এলাকাগুলোতে বিমান চলাচল কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। একই সঙ্গে এটি এক সাহসিকতার উদাহরণ হয়ে থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স