প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম রসুলগঞ্জ হাটবাজারের প্রধান সড়কের দুই পাশের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান। এ সময় তার ওপর চড়াও হয়ে তীব্র বিতণ্ডার সৃষ্টি করে ফুটপাত দখলকারী দোকানদারেরা। একপর্যায়ে অভিযান পরিচালনাকারীদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়। শনিবার (৩ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাজুল ইসলাম হাদি (৩৩) নামে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হাদি রসুলগঞ্জ গ্রামের জুম্মাপাড়া এলাকার পাটগ্রাম পৌরসভার নজরুল ইসলামের ছেলে।জানা গেছে, গত রমজান মাসে ফুটপাত দখল ছেড়ে দিতে বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও দোকানদেরকে আহবান দীর্ঘ দিন মাইকিং করা হয়। এ সময় ফুটপাত দখলকারীরা ইউএনওর কাছে ঈদ পর্যন্ত সময় নেয়। এরপর সর্তক করে ফুটপাত ছেড়ে যেতে বললেও কেউ সরে যায়নি। পরবর্তীতে শনিবার (৩ মে) থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারী ও আনসারদেকে নিয়ে ফুটপাত দখল মুক্ত করার অভিযান পরিচালনা করতে যান ইউএনও। পৌর শহরের পশ্চিম চৌরঙ্গী মোড় হতে পূর্ব চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করার সময় পশ্চিম চৌরঙ্গী মোড় সড়কের ফুটপাত দখলকারী ফলের দোকানদারসহ অন্যান্য দোকানদারেরা অন্তত ২০-২৫ ব্যক্তি ইউএনওর ওপর চড়াও হন। ইউএনও ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে আনসার সদস্যসহ ইউএনওকে ধাক্কা মারেন।

এ ঘটনার পর তাজুল ইসলাম হাদী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান। এ সময় ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযানে সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকি ও আক্রমণ করার অপরাধে দণ্ডবিধি আইনের ১৮৯ ধারায় আদালত অভিযুক্ত হাদিকে ৫ শ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি তাজুল ইসলাম হাদিকে পুলিশ পাহারায় বিকেলে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযানে সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকি ও আক্রমণ করার অপরাধে অভিযুক্ত হাদিকে ৫শ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’