শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফের চালু করলো যুক্তরাষ্ট্র জুলাই শুধু বিপ্লবের না, হান্নান মাসউদের মতো ধান্দাবাজদের কপাল খোলার মাস : নির্ঝর এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ভয় দেখানোর জন্য: নাহিদ ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতে দুইজনকে দণ্ড দেওয়ায় থানায় হামলা-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২০ বিচারিক আদেশে জামায়াতের পুরনো নিবন্ধনই বহাল, গেজেট প্রকাশ করল ইসি। জাতীয় সমাবেশ সফল করতে বৈঠক ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান; গোলাম পরওয়ারের। বিভাগীয় শহরেও হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে রাজনৈতিক ঐকমত্য : অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বরিশালে যুগান্তর ব্যুরো প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা ; বিএমএসএফের প্রতিবাদ বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান: ‘কেএনএফ’-এর শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ দুইজন নিহত। শার্শা সীমান্তে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণ ও ভারতীয় পণ্য উদ্ধার, আটক ১২ বিএনপির দফা নয়, অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান ও অ্যাকশন চাই: সারজিস আলম আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি কালীগঞ্জে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেষ্টুনীসহ বৃক্ষ রোপন ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন জলবায়ু মোকাবিলা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সুইডেন সহায়তা করছে: পরিবেশ উপদেষ্টা মাত্র দু’বছর পিছিয়েছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি : পেন্টাগন থাইল্যান্ডে আবারও ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী বদল : নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিতে প্রস্তুত রূপসায় শহীদ ইয়াসিনের করব জিয়ারত করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বীরগঞ্জে বিদায় প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিককে রাজকীয় সংবর্ধনা টেলিকম খাতে নতুন নীতিমালা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ রূপসায় পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

৫৪ বছর পর ভারতে কেন নিরাপত্তা মহড়া?

ডেস্ক রিপোর্টঃ / ৫৫
আপডেটঃ মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫

প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:

১৯৬২ সালে হয়েছিল, ১৯৭১ সালেও হয়েছিল, আবার চলতি বছরের ৭ মে ভারতে নিরাপত্তা মহড়া হতে যাচ্ছে। তবে কেন এই নিরাপত্তা মহড়া? ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা যাদের স্মরণে আছে, তারা মনে করতে পারবেন কলকাতায় তখন সাইরেন বাজতো, ব্ল্যাক আউট হয়ে যেত। বাড়ির জানালার কাচে কাগজ লাগিয়ে রাখা হয়েছিল। গাড়ির হেডলাইটের কাচ অর্ধেক কালো করে ঘুরতেন চালকেরা। সেসময় বলা হয়েছিল, সম্ভাব্য আক্রমণ হলে কী করতে হবে এবং কোন কোন জিনিস করা যাবে না।

ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে বহুবার উত্তেজনা প্রবল হয়েছে। তার কয়েকটি উদাহরণ হলো, উরি, পাঠানকোট, সংসদ ভবন আক্রমণ এবং কার্গিল। কিন্তু তখনো এই নিরাপত্তা মহড়ায় অংশ নিতে হয়নি সাধারণ মানুষকে। যা তাদের করতে হবে বুধবার।

কারা মহড়া করাবেন?

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রাম থেকে মহানগর পর্যন্ত দেশের ২৪৪টি সিভিল ডিফেন্স জেলায় এই মহড়া হবে। জেলাশাসক, বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মীরা, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স ওয়ার্ডেন, স্বেচ্ছাসেবকরা ছাড়াও থাকবেন এনসিসি, এনএসএস, এনওয়াইকেএসের স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা। তাছাড়া হটলাইনে বিমান বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হবে।

কী বলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো বিমান হামলা হলে কী করতে হবে তা মহড়ায় থাকবে। বিমান হামলার সাইরেন বাজলে কী প্রস্তুতি নিতে হবে তা মহড়ায় থাকবে। কন্ট্রোল রুম ও শ্যাডো কন্ট্রোল রুম কীরকম কাজ করছে তাও দেখা হবে।

বলা হয়েছে, ব্ল্যাক আউট হলে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, সেটাও জানানো হবে।গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির জন্য কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেটাও বলা হবে। কোনো হামলা হলে কীভাবে উদ্ধার করতে হবে, কীভাবে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নিতে হবে, সেটাও বলা হবে। দমকল এবং উদ্ধারকারীদের প্রস্তুতির বিষয়টিও দেখা হবে।

যে সব জায়গা নিরাপদ নয়, সেখান থেকে দ্রুত মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার মহড়াও হবে।

কেন এই মহড়া? 

এরকম মহড়া ৫৪ বছর পর আবার হচ্ছে। এরকম মহড়া হচ্ছে, পেহেলগাম-কাণ্ডের পর। সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রতি রাতে গুলির লড়াই চলতে থাকায় এই মহড়া। ভারত অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানের সেনা প্রতিদিন কোনোরকম উসকানি ছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে গুলি চালাচ্ছে। তখন তাদের জবাব দিচ্ছে বিএসএফ। এই আবহে নিরাপত্তা মহড়া হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ১৯৬২ সালে এটা আসামে হয়েছে। বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় হয়েছে। সে সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৩ দিনের যুদ্ধ হয়েছিল। তখন এই ড্রিলের গুরুত্ব বোঝা গেছিল। এটা হচ্ছে রেডি থাকা। খুব তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষ কী করবেন তা তাদের শিখিয়ে দেয়া হয়। এই মক ড্রিলে সব ধরনের বিষয় থাকে। সেখানে কখন লাইট অফ করতে হবে, জল ভরে রাখতে হবে, আগুন লাগলে কী করতে হবে থেকে শুরু করে কার কী কাজ হবে এ নিয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হয়। সেজন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।

সাবেক আইপিএস অফিসার এবং মরিশাসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শান্তনু মুখোপাধ্যায় ডিডাব্লিউকে বলেছেন, মানসিক প্রস্তুতির জন্য দরকার হয়। সবাই বুঝতে পারেন, তাদের কতটা সতর্ক থাকতে হবে। এটা একটা প্রস্তুতি ও মানুষকে সচেতন রাখার জন্য করা হয়।

কিন্তু এতবছর পর কেন মহড়া করতে হচ্ছে ভারতকে? তার মানে কি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন?

উৎপল ভট্টাচার্যের মত হলো, ভারত একটা প্রত্যাঘাত তো করবে। কিন্তু কবে করবে, কখন করবে, কীভাবে করবে তারা ঠিক করবে। পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে ধন্ধে থাকবে।

উৎপল ভট্টাচার্য মনে করেন, এর মধ্যে একটা সারপ্রাইজ এলিমেন্ট আছে। হয়ত দুই বছর আমরা কিছু করলাম না। কিন্তু যখন করলাম তখন তা কার্যকরী হবে এবং পাকিস্তান কিছুদিন এই ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।

অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কে পি ত্যাগী নিউজএক্সকে বলেছেন, জেনারেল কোছার বলে দিয়েছেন, ভয় পাওয়ার দরকার নেই। এটা যুদ্ধ নয়, এটা শুধুমাত্র যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা কী করব?

শান্তনু মুখোপাধ্যায় মনে করেন, এখন দুই দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা আছে বলে এটা জরুরি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, যুদ্ধ শুরু হবে। এটা নিজেদের প্রস্তুত রাখা। মানুষকে সচেতন রাখা। এখন তো সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও আগুন লাগলে কী করতে হবে তার মহড়া হয়। মহড়ার পুরো বিষয়টিই হলো, কিছু হলে তার মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকা। এর বেশি কিছু নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Theme Created By ThemesDealer.Com