প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
নরসিংদীর পলাশে জমি সংক্রান্ত জেরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে কাউছার মিয়া নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে।রোববার (২৫ মে) দুপুরে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামে আরজু ভূইয়ার বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে হামলাকারীরা ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্ত কাউসার মিয়া মালিতা গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে ও পলাশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক।এ ঘটনায় রোববার রাতেই ভুক্তভোগী বিউটি বেগম বাদী হয়ে কাউছার মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ২ নাম্বার আসামি আব্দুল গণি মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাউসার মিয়ার সঙ্গে মালিতা গ্রামের আরজু ভূইয়ার মেয়ে বিউটির জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। দুপুরে জমির বায়না বাবদ পাওনা টাকা চাইতে গেলে কাউছার মিয়া ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী নিয়ে বিউটি বেগমের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ৫টি রুমের টিভি, ফ্রিজ, আলমারি ভাঙচুর করে। পরে ঘরে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকারলুট করে নিয়ে যায়।বিউটি বেগম বলেন, গত দুই মাস আগে তালতলী গ্রামের গণি মিয়ার কাছে সাড়ে তিন শতাংশ জমির কেনার বায়না করেন। পরে ওই কেনার জন্য কাউছার মিয়া গণি মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করে। এক পার্যায় বায়নার টাকাসহ অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেই জমি নিজের করে নেয়। এদিকে বায়নার টাকা ফেরত চাইলে কাউছার মিয়া বিভিন্ন সময় হুমকি দিত। সকালে আবারও টাকা চাইতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাউছার মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় একটি মামলা করেছে। এরপর অভিযান চালিয়ে রাতেই গণি মিয়া নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।