প্রতিদিনের স্বদেশ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কোরবানির পশুর হাটের শিডিউল ক্রয় নিয়ে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং মারামারিতে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। এতে বিএনপি নেতাসহ অন্তত ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকেে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, বিএনপি নেতা লাভলু, হানিফ, আরিফসহ আরও অন্তত ১৭ জন। আহতদের অনেকেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩০-৩৫ জনের একটি দল সকালে উপজেলায় আসে। এরপর তাদের মধ্যে কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পাশের কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। বাকিরা উপজেলা পরিষদের মাঠে অবস্থান নেয়। এ সময় টেন্ডারে অংশ নিতে আসা কয়েকজন হাটের শিডিউল ক্রয় করে বের হওয়া পথে তাদের দেহ তল্লাশি করে শিডিউল রেখে দেয় যুবকরা। এ বিষয়ে যে প্রতিবাদ করে কয়েকজন বিএনপি নেতা। তারপর তাদের ওপর চড়াও হয় দলটি। এ সময় তাদের মারধরে বিএনপি নেতা লাভলু, হানিফসহ অন্তত ১২ জন আহত হন।
এরপর বিকেলে ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার উপজেলায় আসেন। এ সময় আবারও দুপক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রুহুল আমিন শিকদারের লোকজন জানতে পেরে তারা উপজেলা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।পরে সেখানে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। এ সময় সবাই পালিয়ে গেলেও আটজন উপজেলা কার্যালয়ের অফিস কক্ষে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলায় ১৫টি পশুর হাটের শিডিউল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু উশৃঙ্খল যুবক পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলেছিল। তাদের আটক করা হয়েছে। নাম পরিচয় জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।