মো: আল মাসুম খান
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরের আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সমাবেশে বলেন, ইসলামী আন্দোলন ঈমানের অপরিহার্য অংশ। গত ৫ আগস্ট যে বিপ্লব হয়েছে সেখানে জুলুম থেকে মানুষ কিছুটা বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু সত্যিকার ইসলামী আন্দোলনের জন্য আরও একটি বিপ্লব করতে হবে। আজ শনিবার ৩১ মে বিকেলে খুলনা মহানগরের খালিশপুর থানাধীন রায়ের মহলস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে ১৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ওয়ার্ড ও ইউনিট প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। ১৪ নং ওয়ার্ড আমীর মনতাজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি ও মহানগরের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খলিশপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যান্যের মধ্যে জামায়াত নেতা বিএল কলেজের ভিপি এ্যাডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, সিদ্দিক হেলাল, শওকাত হোসেন, মইনুল হক, বদরুদ্দোজা আল মামুন, মেহদী হাসান, ইকবাল হোসেন, হুমায়ুন কবির হিমু, হাফেজ আব্দুল্লাহ, ইমরান হোসেন, নাজিম উদ্দিন সোহাগ, আব্দুর রাজ্জাক, আমিনুল ইসলাম রূপম, কুতুবুদ্দিন রব্বানী, মজিবুর রহমান, শ্রমিক নেতা আব্দুর রহমান, হাবিবুর রহমান, এফতেখার, আমিরুল ইসলাম, ছাত্রশিবির নেতা ইমরান হোসেন, নোমান শেখ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা মহানগরের সোনাডাঙ্গায় কর্যে হাসানা প্রকল্পের নগদ অর্থ বিতরন প্রকল্পের অধীনে খুলনা মহানগরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১ম ফেজ এর কর্যে হাসানা (ঋণ/ধার) প্রকল্পের চেয়ারম্যান মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, কর্যে হাসানা বর্তমান বিশ্বে সুদমুক্ত অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অন্যতম উপায়। কর্যে হাসানায় সুদের কোনো অস্তিত্ব থাকে না। ইসলামি অর্থনীতি মানুষকে সুদ এড়িয়ে চলতে ও সুদী লেনদেন পরিহার করতে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। আজ শনিবার ৩১ মে সকালে সোনাডাঙ্গাস্থ কর্যে হাসানা (ঋণ/ধার) প্রকল্পের অস্থায়ী কার্যালয়ে কর্যে হাসানা গ্রহণকারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে নগদ অর্থ বিতরন কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। প্রকল্পের জেনারেল সেক্রেটারি উদ্যোক্তা মো. রজব আলীর পরিচালনায় হাফেজ মাওলানা মো: রাহাতুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুর রহিম, সাব্বির আহমেদ, কাফি হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শারিরিক প্রতিবন্ধী মো: সরোয়ার হোসেনকে ব্যবসার (খাশির মাথা, কলিজা ও পায়া) জন্য এবং মো: নজরুল ইসলামকে ফল বিক্রির জন্য কর্যে হাসানা দেয়া হয়। যার অর্থ এক বছর ধরে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।