মো: আল মাসুম খান
গ্রামের জমির বিনিময়ে খুলনা শহরে জমি ক্রয় করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের মানুষদের কাছে টাকা নিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে জানা যায় কয়েকজনের জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে লিখেও নিয়েছেন। কিন্তু শহরে জমি ক্রয় করে না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় বদলী হয়ে গেছেন তিনি। টাকা পেতে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে খুলনা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারপরও টাকায় আদায় করতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা। আজ বুধবার ৪ জুন খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের ফিরোজা বেগম। এ সময় তার সঙ্গে আরও দু’জন ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত মোল্লা রহমত উল্লাহ পুলিশ কনস্টেবল নম্বর (কং/১৮৫১) দীর্ঘদিন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় জমি ক্রয়- বিক্রয়ের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার কলাটিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবু তালেব মোড়ল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, চাকরির পাশাপাশি মোল্লা রহমত উল্লাহ জমি ক্রয়- বিক্রয়ের কাজ করতেন। গ্রামের জমির পরিবর্তে খুলনার ডুমুরিয়া থানার চক আহসান খালী মৌজায় তার স্ত্রীর নামে থাকা ২ দশমিক ০১ একর জমি কেনার জন্য আমাদের প্রস্তাব দেয় রহমত। জমি কিনতে কয়েকটি ধাপে ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং চরপাতলা গ্রামের বাড়িতে থাকা আমার ২ বিঘা জমিও মোল্লা রহমতউল্লাহ এবং তার স্ত্রী সুচরিতার নামে লিখে নেয়। কিছুদিন পরে আমরা জানতে পারি চক আহসান খালী মৌজায় তার কোনো জমি নেই। তিনি আরও বলেন, একই ভাবে আমার বৌমা আকাশী খাতুনকে খুলনা নগরীতে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ তিন হাজার টাকা নিয়েছে। খুলনার তাকেও চক আহসান খালী মৌজায় দশ শতক জমি কিনে দেওয়ার কথা ছিল। পুলিশ কনস্টেবলের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তার বিরুদ্ধে গত বছর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সিআর ২৮৯/২৪ মামলা দায়ের করি।