মো: আল মাসুম খান
খুলনা বিভাগের যশোরের ঝিকরগাছায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ধর্ষণের পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই শিশুর আপন ফুফাতো ভাই নাসমুস সাকিব নয়ন। ঝিকরগাছা থানা পুলিশ তাকে আটক করেছে। ঘাতক নয়ন হাড়িয়া গ্রামের ইলিয়াস রহমানের ছেলে। আলোচিত এই হত্যা মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন শিশু সোহানা তার ফুফুর বাড়িতে যায়। সেখানে তার বোন তন্নীর সাথে গল্প করছিলো। বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। এসময় তন্নীর শরীর খারাপ লাগলে ঘরে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর বারান্দায় দোলনায় দোল খাচ্ছিলো সোহানা। এ সময় বাড়িতে আসে নয়ন। এসে দেখে তন্নী ঘুমাচ্ছে। এ সুযোগে নয়ন সোহানাকে জোর করে নিজ ঘরে নিয়ে যায় এবং মুখে রুমাল দিয়ে চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে মৃতদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। পরে ফুফাতো ভাই নয়ন সোহানা হারিয়ে গেছে বলে নাটক সাজায়। পরের দিন পুকুর থেকে সোহানার মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। আলোচিত এই শিশু হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন সোহানার বাবা। মামলাটি থানা পুলিশের বিশেষ তদন্তে বেরিয়ে আসে ধর্ষণের পরবর্তী হত্যাকান্ডের বিষয়টি। পরবর্তীতে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ আটক করে নয়নকে। এরপর থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় সে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। গতকাল ১৩ জুন শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দেয়। স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।