মো: আল মাসুম খান
সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে চোরা হরিণ শিকারীদের তৎপরতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন বিভাগের নিয়মিত অভিযানে শত শত হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার হলেও চোরাশিকারি চক্রের গডফাদার ও সদস্যরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পূর্ব সুন্দরবনের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি ও টিয়ারচর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হরিণ শিকারের ছয় শতাধিক ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারু। উল্লেখ্য বন বিভাগের অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল সোমবার ১৬ জুন সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত গণমাধ্যমের সাংবাদিক সাংবাদিকদের কাছে করেছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম চৌধুরী।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, ফুট প্যাট্রোলের আওতায় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় গোপন অভিযানে নামেন। এ সময় বনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রাখা ছয় শতাধিক মালা ফাঁদ ও কাকড়া ধরার ১৬টি চারু জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, বন বিভাগের নিয়মিত টহলের খবর পেয়ে শিকারিরা আগে ভাগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নিজেদের রক্ষা করতে ফাঁদগুলো মাটির নিচে পুঁতে রেখে যায় তারা। উদ্ধার করা সরঞ্জাম বর্তমানে কোকিলমনি টহল ফাঁড়িতে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য এর আগে, ১৩ জুন পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন এলাকায় বন প্রহরীরা গোপন অভিযানে আরও ১৩৫টি মালা ফাঁদ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে হুলার ভারানী সংলগ্ন খাল থেকে ৮২টি ও সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৩টি ফাঁদ জব্দ করা হয়। পরে এসব ফাঁদ জনসম্মুক্ষে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।