মো: আল মাসুম খান
খুলনার হরিণটানা থানাধীন কেডিএ ময়ূর আবাসিক এলাকার স্টিলের ব্রিজের পাশে পাওয়া লাশটি নিখোঁজ হওয়া ইজিবাইক চালক জাহিদুর হাওলাদারের বলে শনাক্ত হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে এবং ভিকটিমের লুণ্ঠিত ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, গত ১১ জুন ২০২৫ তারিখে কিবরিয়া হাওলাদার তার পিতা জাহিদুর হাওলাদার (৪৯), পিতা-আয়ুব আলী হাওলাদার, সাং-শোভনা, থানা-ডুমুরিয়া, জেলা-খুলনা নিখোঁজ হয়েছেন বলে হরিণটানা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ২২ জুন পুলিশ কেডিএর ময়ূর আবাসিক এলাকার একটি নির্জন স্থানে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পায়। পুলিশের অনুরোধে জিডির বাদী ও তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের পোশাক দেখে এটি জাহিদুর হাওলাদারের বলে সনাক্ত করেন।
ঘটনার পরপরই হরিণটানা থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয় (মামলা নম্বর-০৬, তারিখ: ২২/০৬/২০২৫; ধারা: ৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড)। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও বেনাপোলে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো ১. সিরাজুল ইসলাম হৃদয় (১৯), পিতা-সালাম মোল্লা, সাং-ভাতছালা, থানা-বাগেরহাট সদর; ২. বাপ্পী খান ওরফে রায়হান ওরফে চিতা (২০), পিতা-সায়েম খান, সাং-নলিয়ান, থানা-দাকোপ; ৩. নাজমুল গাজী ওরফে লাদেন (২৫), পিতা-বাবু গাজী, সাং-নলিয়ান, থানা-দাকোপ; ৪. ইকবাল গাজী (৩০), পিতা-মো: ইসা গাজী, সাং-গাছগাছি, থানা-কোতোয়ালি, যশোর; ৫. আসাদুল মোল্লা (২৮), পিতা-আসলাম মোল্লা, সাং-ভবেরবেড়, থানা-বেনাপোল পোর্ট, যশোর।
আসামিদের হেফাজত থেকে নিহতের ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আসামিরা কেডিএ ময়ূর আবাসিকে ঘোরার কথা বলে গল্লামারী এলাকা থেকে জাহিদুরের ইজিবাইক রিজার্ভ নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্জন স্থানে গিয়ে তারা জোরপূর্বক ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতে গেলে জাহিদুর বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এবং ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় পূর্বে কোনো মামলা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।