মো: আল মাসুম খান
তেরখাদা থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেনসহ ১০ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বুধবার ২৫ জুন দুপুরে তেরখাদা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মো: গোলাম মোস্তফা ভুট্টো বাদী হয়ে খুলনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তেরখাদা অঞ্চলে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো: নাজমুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন তেরখাদা থানা পুলিশের তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত)মো: আলমগীর কবির, সেকেন্ড অফিসার আব্দুল কাইয়ুম, এস.আই চঞ্চল কুমার হালদার, এস.আই রুবেল, এস. আই এনামুল, এস.আই প্রতাপ, এস.আই অলিফ ঘোষ, এস.আই মোহাম্মদ শাহিন কাদির এবং এস.আই বিশ্বজিৎ মিত্র।
ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বর্তমানে খুলনায় পুলিশের ক্রাইম শাখায় কর্মরত আছেন।
আদালত থেকে প্রাপ্ত মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করতেন আসামিরা। বাদী তেরখাদা থানার যুবদলের নেতা হওয়ায় তার কাছেও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় এবং তা না দিলে গ্রেপ্তার ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২০ জুন বাদীসহ কয়েকজন সাক্ষীকে থানায় ডেকে এনে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। এমনকি উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বুলুর ১১ বছর আগে মারা যাওয়া বাবাকেও একটি মামলার আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বাদীকে ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের পরও তাকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। মামলায় বিএনপি'র স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকেও একই কৌশলে অর্থ আদায় করা হয়েছে।
বাদী গোলাম মোস্তফা ভুট্টো গণমাধ্যমকে বলেন, তৎকালীন সময়ে মামলা করার সুযোগ ছিল না। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করি, ন্যায় বিচার পাবো।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, তেরখাদা থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেনসহ দশজন পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের লবণচরা থানা,রুপসা থানা সহ খুলনা মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলায় ২০১৬ সাল হইতে বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তারই ধারাবাহিকতায় এখনো সে খুলনায় বহাল তবিয়তে চাকরি করছে।