বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নেরচৌপুকুরিয়া মাঝাপাড়া গ্রাম থেকে
ফুলফুলি রানী(৪০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের মলিন চন্দ্র রায় এর স্ত্রী এবং ঠাকুরগাঁও সদর এলাকা বৈদ্যনাথ রায়ের মেয়ে।
সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফুলফুলি রানীর লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছে।
স্থানীয়রা জানান, পরিকল্পিতভাবে ফুলফুলি রানীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
বীরগঞ্জ থানার এসআই নেহার রঞ্জন সরকার জানান,সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছি, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কিছুদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিলো। তিনি আরও জানান, মৃতের স্বামী জানান,তারা প্রতিদিনের ন্যায় ওই দিন রাতে উভয়ে তার নিজ শয়ন ঘরের ঘুমিয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে ৪ জুলাই ২০২৫ রাত আনুমানিক ৩ টা ৩০ মিনিটে তার স্বামী মলিন চন্দ্র রায় ঘুম থেকে উঠে দেখে তার স্ত্রী নিজ শয়ন ঘরের বাহিরে বারান্দায় বাঁশের বর্গার সহিত ফাঁস দিয়া আত্মহত্যা করেছে। পরে স্থানীদের ডাকহাঁক করে একপর্যায়ে গৃহবধূর লাশটি কে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে নিচে নামিয়ে রাখে। এরপর বীরগঞ্জ থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমনার লাশ উদ্ধার করে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর ফুলফুলি রানীর
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
এখন জনমনে প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে সুমনার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা?